বর্তমান সময়ে ফ্যাশন এক বিস্ময়কর পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। প্রজন্মের সঙ্গে তাল মেলাতে ফ্যাশনে লক্ষ্য করা যাচ্ছে স্বতন্ত্র রুচি এবং আধুনিকতার ছোঁয়া। বিশেষ করে নারীদের ফ্যাশনে এই পরিবর্তন ব্যাপক লক্ষণীয়। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে যাদের বয়স বিশ থেকে ত্রিশ; অর্থাৎ জেনারেশন জেড। ফ্যাশনে তাদের পছন্দ ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশ্রণ। সাজপোশাকে তারা অনুসরণ করে নিজস্ব রীতি। আবার কিছু ক্ষেত্রে তারা প্রাধান্য দেয় ট্রেন্ডকেও। এ বিষয়ে দৈনিক রূপালী বাংলাদেশের সঙ্গে কথা হয়েছে জেন জি প্রজন্মের একাধিক নারীর সঙ্গে।
মডার্ন নারী মালিহা মেহরুজ বলেন, ‘আমার বিশ্বাস পোশাক শুধুই সৌন্দর্যের প্রতীক নয় বরং একেকটি পোশাক বা স্টাইলের মাধ্যমে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের প্রতিফলন ঘটে। এ ছাড়া ফ্যাশন মানুষের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে এবং আধুনিক বিশ্বে এটি একটি শক্তিশালী ভাষা হিসেবে কাজ করে। আর সময়ের সঙ্গে ফ্যাশন ধারাগুলো বদলাবে এটাই স্বাভাবিক। যেমন- ফ্যাশনের ক্ষেত্রে আমার পছন্দ গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে কিছুটা এক্সপেরিমেন্টাল। আমি আমার ভাবনাকে গবেষণামূলক সাজপোশাকে রূপান্তর করার চেষ্টা করি। যেমন- প্রাচীন যুগের স্টাইল বা আরও আধুনিক স্টাইল, একে অপরকে সমন্বিত করতে পোশাককে কাস্টমাইজড করা আমার পছন্দের শীর্ষে। এতে যেমন মানসিক শান্তি পাই তেমনি দেখতেও গর্জিয়াস লাগে।’
ফারহা ইবনে ফাইজা বলেন, ‘আমার মতে, পোশাক আসলে নিজের পছন্দমতো তৈরি করেই পরা উচিত। মার্কেটে গিয়ে এক দেড়শ’ পোশাক দেখে একটা নিয়ে এসে দেখলাম মনমতো হলো না। এটা তো মানা যায় না! তাই আমি সব সময় ফ্যাশন ডিজাইন এবং স্টাইলের ক্ষেত্রে দৃশ্যমান সৃজনশীলতাকে প্রাধান্য দেই। একদিকে যেমন আমার প্রিয় ডিজাইনারের পোশাক পরিধান করতে পছন্দ করি, তেমনি পুরোনো বা সেকেন্ডহ্যান্ড পোশাক কিনতেও আমার ভালো লাগে। আমার কাছে ফ্যাশন মানে শুধু দামি ব্র্যান্ড নয়, বরং একটি অর্থপূর্ণ উপস্থাপনা। বিভিন্ন ইন্টিগ্রেটেড পোশাক স্টাইল এবং স্কিন টোন অনুযায়ী উপযুক্ত ফ্যাশন পছন্দের ক্ষেত্রে আমার চিন্তাভাবনা অসাধারণ এবং বিচিত্র।’
ফারাজানা বিথি রাহা বলেন, ‘সাসটেইনেবল ফ্যাশন’ বা পরিবেশবান্ধব ফ্যাশনের প্রতি আমার আগ্রহও অত্যন্ত প্রবল। এটি সমাজের প্রতি দায়িত্বশীলতার একটি প্রকাশ। আমার এমন ব্র্যান্ডকে পছন্দ যা পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপকরণ ব্যবহার করে এবং ন্যায্য শ্রম অধিকার সুরক্ষিত রাখে। এই প্রজন্মের স্টাইলের মাধ্যমে আমি চাই পরিবেশের প্রতি সচেতনতা প্রদর্শন হোক, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও একটি ইতিবাচক বার্তা বয়ে আনবে।’
প্রতিউত্তরে ইথিকা ভৌমিক বলেন, ‘না ভাই! আমার চিন্তাভাবনা একদমই এ রকম না। আমি পছন্দ করি টেকনোলজি এবং সোশ্যাল মিডিয়া বা আজকের ফ্যাশনকে। আমার সাজপোশাকে ট্রেন্ডে খুব গুরুত্ব পায়। তবে ট্রেন্ড হলেও প্রত্যেকটা পোশাক কিছুটা ইউনিক হওয়া চাই। যেন ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, এবং অন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আমার ফ্যাশন পছন্দগুলো সবার সঙ্গে শেয়ার করতে পারি।’
আপনার মতামত লিখুন :