অনেকেই পাবলিকে পছন্দের বিষয়ে পড়ার সুযোগ না পেয়ে প্রাইভেটে ভর্তি হচ্ছেন। আবার কেউ কেউ পাবলিকে ভর্তির চেষ্টা না করেই প্রাইভেটে ভর্তি হচ্ছেন। সব মিলিয়ে বলা যায়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন শিক্ষার্থীদের আশার আলো। আগামী প্রজন্মের উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা নিয়ে দৈনিক রূপালী বাংলাদেশের বিশেষ আয়োজন
একটা সময় বাংলাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। সেখানে ভর্তির জন্য ছিল দীর্ঘ প্রতিযোগিতা। পাবলিকে পড়াশোনার সুযোগ না পেয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশমুখী হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু যাদের অর্থনৈতিক-পারিবারিক সংকটের কারণে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ ছিল না, তাদের পড়তে হতো বিপদে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের সাধারণ কলেজগুলোয় যুগোপযোগী বিষয়, পড়াশোনার মান, শিক্ষকসহ সুযোগ-সুবিধা না থাকায় ঝরে পড়ে অনেক সম্ভাবনায়ময় তরুণ। তাই দেশের মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে ৯০-এর দশকে অনুমোদন দেওয়া হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। সেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন দেশের উচ্চশিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তৈরি করছে অনেক দক্ষমানব সম্পদ। যারা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে প্রতিযোগী করছেন বিশ্ববাজারেও। বড় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এখন বাড়ছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পড়াশোনার আগ্রহ। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই কোনো সেশনজট, রাজনৈতিক বৈরী পরিবেশ, যুগোপযোগী সাবজেক্ট, চোখ ধাঁধানো ক্যাম্পাস, গবেষণাগার, ভালো শিক্ষক থাকায় এই আগ্রহ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েও সেখানে ভর্তি না হয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশে (এআইইউবি) ভর্তি হয়েছেন শোভা আক্তার। তিনি বলেন, ‘আমার আগ্রহ ছিল মেডিকেল কিংবা সিএসসিতে পড়ব। কিন্তু মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পাইনি। এরপর ঢাকার বাইরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু সাবজক্টে পছন্দ না হওয়ায় এআইইউবিতে সিএনসিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। এখানে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে লড়াই করতে হয়েছে। তবে ভর্তি হওয়ার পর মনে হচ্ছে, খুব ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা বন্ধুদের এখনো ঠিকমতো ক্লাস শুরু না হলেও আমার এক সেমিস্টার শেষ হয়ে গেছে। এখানে পড়াশোনার মান খুবই ভালো। শিক্ষকরা খুবই আন্তরিক। নিয়মিত ক্লাস, পরীক্ষা হওয়ায় দ্রুত আমার স্নাতক শেষ হবে বলে আমি আশাবাদী।’
তার মতো আরেকজন স্টেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী বহ্নি। তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে আমার আগ্রহ ছিল আমি সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশোনা করব। কিন্তু পাবলিকে সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ কম। তাই স্টেটে পড়াশোনা করেছিলাম। এখান থেকে পাস করে আমি এখন সাংবাদিকতা করছি।’
এই দুইজন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির চেষ্টা করলেও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজনেস এবং ম্যানেজমেন্ট স্ট্যাডিজ বিষয়ে পড়াশোনা করা জাকিয়া ইসলাম। তিনি বর্তমানের নিউইয়র্কের একটি ভালো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। জাকিয়া বলেন, ‘আমার কখনো পাবলিকে পড়ার আগ্রহ ছিল না। পরিবারেরও এ বিষয়ে সম্মতি ছিল। কারণ পাবলিকে সেশন জট, রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ খুব ভালো পড়াশোনা হয় না। আমি ছোটবেলা থেকে নর্থ সাউথ, ব্র্যাক, ইস্ট ওয়েস্ট বা ইন্ডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সখ ছিল। সেই সখ পূরণ হলো। পড়াশোনা শেষে নিউইয়র্কে এসেও ভালো চাকরি করছি। এখানেও নর্থ সাউথকে খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়।’
তাদের মতো অনেকেই পাবলিকে পছন্দের বিষয়ে পড়ার সুযোগ না পেয়ে প্রাইভেটে ভর্তি হচ্ছেন। আবার কেউ কেউ পাবলিকে ভর্তির চেষ্টা না করেই প্রাইভেটে ভর্তি হচ্ছেন। সব মিলিয়ে বলা যায়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন শিক্ষার্থীদের আশার আলো।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) তথ্যমতে, ১৯৯২ সালে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) মাধ্যমে দেশে শুরু হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা। দেশে বর্তমানে সরকার অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১১৫। এর মধ্যে পাঠদান চলমান রয়েছে ১০৫টিতে। বাকি ১০টির মধ্যে ছয়টিতে পাঠদানের অনুমতি নেই। আর চারটিতে নানা জটিলতার কারণে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। উচ্চশিক্ষা স্তরের বৃহৎ অংশের শিক্ষার্থী তাদের শিক্ষাজীবন শেষ করছেন এসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। শুধু দেশ নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে তরুণ-তরুণীরা ভর্তি হচ্ছেন। এতে একদিকে যেমন সরকারের রাজস্ব বাড়ছে, অন্যদিকে উজ্জ্বল হচ্ছে দেশের ভাবমূর্তিও। এ ছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় খোলা হচ্ছে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নানা প্রোগ্রাম। এ ছাড়া তাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের বিভিন্ন প্রোগ্রাম।
ইউজিসিসহ শিক্ষাসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে খোলা হয়েছে আধুনিক যুগের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ও শিক্ষার্থীদের চাহিদামাফিক নানা বিষয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- আর্কিটেকচার, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োকেমিস্ট্রি, মাইক্রোবায়োলজি, পাবলিক হেলথ, ফার্মেসি, ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি, অ্যাপারেল ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্টেরিয়র আর্কিটেকচার, প্রডাক্ট ডিজাইন, মিউজিক, গভর্নমেন্ট অ্যান্ড পলিটিক্স, মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ, অ্যাকাউন্টিং, মার্কেটিং, ম্যানেজমেন্ট, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন, বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, আইন, ল্যাবরেটরি সায়েন্স, ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, আইসিটি, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, পারফর্মিং আর্টস ইত্যাদি। এসব প্রোগ্রাম থেকে পড়ালেখা শেষ করে পেশা জীবনেও ছাত্রছাত্রীরা রাখছেন কৃতিত্বের স্বাক্ষর।
ইউজিসির সর্বশেষ ৪৯তম বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০২২ সালে দেশের ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৮ হাজার ৪৫৬ জন। তার মধ্যে ছাত্রী ৪৯ হাজার ২১৮ জন। তদের মধ্যে স্নাতক (পাস) পর্যায়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩১৩ জন, তার মধ্যে ছাত্রী ৬৫ জন, স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১ লাখ ২৩ হাজার ৩৮ জন, তার মধ্যে ছাত্রী ৩৯ হাজার ৬৫৩ জন এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ২৩ হাজার ৬০১ জন, তার মধ্যে ছাত্রী ৯ হাজার ১৭৭ জন। এ ছাড়া সার্টিফিকেট, ডিপ্লোমা ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৫০৪ জন, তার মধ্যে ছাত্রী ৩২৩ জন। এর আগে ২০২১ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯৩ হাজার ৫০৩ জন। সেই হিসাবে ২০২১ সাল থেকে ২০২২ সালে প্রায় অর্ধলাখ শিক্ষার্থী ভর্তি বেড়েছে।
এ ছাড়া ২০২২ সাল পর্যন্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রিভিত্তিক অধ্যয়নরত সর্বমোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৪১ হাজার ৯৮ জন, তার মধ্যে ছাত্রী ১ লাখ ৫৮৫ জন। তাদের মধ্যে স্নাতক (পাস) পর্যায়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩১৩ জন, তার মধ্যে ছাত্রী ৬৫ জন, স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩ লাখ ৩ হাজার ৭৪১ জন, তার মধ্যে ছাত্রী ৮৬ হাজার ৬৮৬ জন এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩৫ হাজার ৩৫১ তার মধ্যে ছাত্রী ১৩ হাজার ৪০৪ জন। এ ছাড়া সার্টিফিকেট, ডিপ্লোমা ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা কোর্সে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৬৯৩ জন। এর মধ্যে ৪৩০ জন ছাত্রী।
ইউজিসি সূত্র আরও বলছে, এসব শিক্ষার্থীর মধ্যে কৃষিতে ১ হাজার ৬৯৮ জন, কলা ও মানবিকে ৩৭ হাজার ৭৭৩, জীববিজ্ঞানে ৪ হাজার ৭৭, ব্যবসায় শিক্ষায় ৭৫ হাজার ৫৮, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিতে ১ হাজার ৭৫৩, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ও জনস্বাস্থ্যে ৬ হাজার ১৭, আইন ২০ হাজার ৭৭২, মেডিসিনে ১ হাজার ৩১, ফার্মেসিতে ১০ হাজার ৯৮৯, বিজ্ঞানে ৬ হাজার ৮২৩, সামাজিক বিজ্ঞানে ১১ হাজার ১০০, টেক্সটাইল ও ফ্যাশনে ১০ হাজার ৪৭৬, ভেটোরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সে ২৯৭ এবং অন্যান্য বিভাগে ৩ হাজার ৭৪০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত ছিল।
ইউসিজির তথ্যমতে, ২০২২ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সর্বমোট শিক্ষক সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ৫০৮ জন, যা আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের তুলনায় ১ হাজার ১১৫ জন বেশি। এর মধ্যে পূর্ণকালীন শিক্ষক ১২ হাজার ১৩ জন যা আগের বছরের তুলনায় ৬৯ জন কম। এ ছাড়া খণ্ডকালীন শিক্ষকের সংখ্যা ৪ হাজার ৫ জন, যা আগের বছরের তুলনায় ৭ জন ৩১৬ জন বৃদ্ধি পেয়েছে। শিক্ষকদের সংখ্যা বাড়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাত দাঁড়ায় ১:২১, যা গত বছরে ছিল ১:২০।
তথ্য আরও বলছে, পূর্ণকালীন শিক্ষকদের মধ্যে প্রফেসর ৮৫৯ জন, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ৯৮৬ জন, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ৩ হাজার ২৯৩ জন, প্রভাষক ৬ হাজার ৮৪৫ ও অন্য ২৪৭ জন। এ ছাড়া খণ্ডকালীন শিক্ষকদের মধ্যে প্রফেসর ৯৯৯, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ৫৪৫, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ৬৯৫, প্রভাষক ১ হাজার ৫৭৭ ও অন্য ৪৬২ জন।
এ ছাড়া ওই বছরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৬ হাজার ৫০৮ জন শিক্ষকদের মধ্যে মহিলা শিক্ষক ৫ হাজার ১৬৭ জন, যা আগের বছরের তুলনায় ১৬৮ জন বেশি। এর মধ্যে পূর্ণকালীন শিক্ষক ৪ হাজার ৩৭২ জন এবং খণ্ডকালীন শিক্ষক ৭৯৫ জন।
শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন পিএইচডি ধারী শিক্ষকদের সংখ্যাও। তথ্য বলছে, ২০২২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় পিএইচডিধারী শিক্ষকদের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৫১০ জন, যা আগের বছরের তুলনায় ৫৬৬ জন বেশি। এখানে পূর্ণকালীন শিক্ষক ১ হাজর ৯০৪ জন এবং খণ্ডকালীন শিক্ষক ১ হাজার ৬০৬ জন। এর মধ্যে মধ্যে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক অর্থাৎ ২৬০ জন পিএইচডিধারী শিক্ষক রয়েছেন। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম সর্বাধিক সংখ্যক শিক্ষক ছিল যথাক্রমে ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে ২২৮ জন, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে ১৯৪ জন, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে ১৭৮ জন, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে ১৫১ জন শিক্ষক কর্মরত ছিলেন।
রাজধানীর মেরুল বাড্ডা এলাকায় সাত একর জায়গাজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির নিজস্ব ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাসটির দেশের প্রথম পরিবেশবান্ধব ও টেকসই ‘ইনার সিটি ক্যাম্পাস।’ এ ক্যাম্পাস প্রকৃতি ও স্থাপত্যের মিশেলে নির্মিত হয়েছে। বিশাল জায়গাজুড়ে গড়ে ওঠা ভবনটির ভেতরে-বাইরে খোলামেলা জায়গা আর আধুনিক প্রযুক্তির মিশেলে গড়া ভবনটি দেখেই বোঝা যায়, এটি অন্য ভবনের চেয়ে ব্যতিক্রম। আছে দৃষ্টিনন্দন লাইব্রেরি ও গোছানো শ্রেণিকক্ষ। ছাদে খেলার মাঠ ও জগিংয়ের ব্যবস্থা। ভেতরে আলো ও বাতাসের কমতি নেই। শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের (এসি) খুব একটা ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না। শুধু ব্র্যাক নয়, দেশের অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে সব সুবিধাসংবলিত দৃষ্টিনন্দন সুপরিসর স্থায়ী ক্যাম্পাস। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে অনুমোদন পাওয়ার পর ১২ বছরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
ইউজিসির তথ্যমতে, বর্তমানে ৫৩টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। স্থায়ী
ক্যাম্পাস থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একদিকে যেমন সরকারের শর্ত পূরণ করেছে, অন্যদিকে সেগুলোয় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়ছে।
আপনার মতামত লিখুন :