সাগরের নীল জলরাশি আর বাতাসের দোলায় নারিকেল গাছের পাতার মৃদু নৃত্য; এ যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি। কক্সবাজারে বেলাভূমিতে এমনই এক পরিবেশবান্ধব রিসোর্ট, মারমেইড বিচ রিসোর্ট। সমুদ্রের গর্জন শুনতে শুনতে যেখানে প্রকৃতির সান্নিধ্য উপভোগ করা যায়। এবার রিসোর্টটি অতিথিদের জন্য এক নতুন অভিজ্ঞতার দ্বার খুলে দিয়েছে. আর তা হলো, নিজের হাতে গাছ লাগানোর সুযোগ!
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে মারমেইড ইকো ট্যুরিজম লিমিটেড নতুন এই উদ্যোগ নিয়েছে। অতিথিরা এখন তাদের নিজের হাতে নারিকেল গাছ লাগাতে পারবেন, যা কেবলমাত্র সৈকতের সৌন্দর্য বাড়াবে না, বরং উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবেশ সুরক্ষায়ও ভূমিকা রাখবে। নারিকেল গাছের শিকড় মাটি শক্তভাবে ধরে রাখে, ক্ষয় রোধ করে এবং বাতাসের গতি কমিয়ে সৈকতকে সুরক্ষিত রাখে।

এ বিষয়ে রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুল হক চৌধুরী সোহাগ বলেন, ‘আমরা শুধু অতিথিদের বিশেষ অভিজ্ঞতা দিচ্ছি না, বরং প্রকৃতি সংরক্ষণেও ভূমিকা রাখছি। নিজের হাতে লাগানো গাছগুলো অতিথিদের স্মৃতির অংশ হয়ে থাকবে, যা ভবিষ্যতে কক্সবাজারের পরিবেশ রক্ষায় অবদান রাখবে।’
সকালের স্নিগ্ধ আলোয় সৈকতে হাঁটতে বের হলে, দেখা মিলবে সারি সারি নারিকেল গাছের। এখানে এসে অতিথিরা শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করবেন না, বরং প্রকৃতির অংশীদারও হবেন। এক কাপ কফি হাতে সাগরের ঢেউয়ের শব্দ শুনতে শুনতে নিজের লাগানো গাছের পাশে বসে থাকার অনুভূতি সত্যিই হবে অনন্য।
সন্ধ্যা নেমে এলে, সমুদ্রের গর্জনের সঙ্গে মিলেমিশে যায় বাতাসে দোল খাওয়া গাছের পাতার শব্দ।
মারমেইড রিসোর্টের এই উদ্যোগ শুধু একটি রিসোর্টের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং উপকূলীয় অঞ্চলে পরিবেশ রক্ষার জন্য একটি বড় দৃষ্টান্ত। শুধু নারিকেল গাছ নয়, রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ আরও পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে, যাতে সৈকতের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়।