শূন্য মানে শূন্যতা নয়,
শূন্য মানে মুক্তি—
একটি পৃথিবীর জন্ম যেখানে আর কান্না নেই,
নেই উপোস শিশুর রাত,
নেই আশাহীন তরুণের দীর্ঘশ্বাস,
নেই নিঃশব্দে পোড়া আকাশ।
আমি দেখেছি,
একটি স্বপ্নের নাম শূন্য—
যেখানে দারিদ্র্য নেই, নেই বিষণ্ন বেকার মুখ,
আকাশের বুক ফাটিয়ে কার্বনের ছায়া আর নামে না।
আমরা কি মানুষ?
নাকি কেবলই সংখ্যা?
নাকি ব্যস্ত ডেটার রেখায় চিহ্নিত
নির্বাক এক একক?
না, আমরা কল্পনা করতে জানি।
আমরা জানি
কীভাবে সূর্য বুনে জ্বালানির ভাষা,
কীভাবে নারীর হাতে উঠে আসে অর্থনীতির পাখা।
শূন্য দারিদ্র্য—
মানে কেউ আর জন্মাবে না এক মুঠো ভাতের জন্য লড়তে,
তার জায়গা হবে মিউজিয়ামে,
বাচ্চারা দেখে হাসবে, বলবে—
এই কি সেই দুঃখের দিন?
শূন্য বেকারত্ব—
মানে কাজ শুধু চেয়ারে নয়,
কাজ সৃষ্টি হবে চিন্তার গভীরে,
হাতে হাতে শেকড় ছড়িয়ে দেবে
উন্নয়নের আলোক রেখা।
শূন্য কার্বন—
মানে নিশ্বাস নেবে গাছেরা গান গেয়ে,
নদী আবার ফিরে পাবে তার শব্দ,
পৃথিবী গাইবে এক সবুজ পৃথিবীর পদাবলি।
এই তিন শূন্য
একটি কল্পনা নয়,
এ এক আন্দোলনের ছন্দ,
যেখানে প্রতিটি মানুষ কবি,
প্রতিটি হৃদয় উদ্যোক্তা,
প্রতিটি ক্ষুদ্র উদ্যোগ এক মহাকাব্য।
তুমি বলো,
এ কেমন স্বপ্ন?
আমি বলি এ এক স্বপ্নবীজ—
যা রোপণ করেছিলেন একজন স্বপ্নদ্রষ্টা,
যিনি সংখ্যাকে দিলেন নৈতিকতা,
অর্থনীতিকে দিলেন হৃদয়,
এবং সমাজকে শেখালেন:
মানুষই মূলধন।
আপনার মতামত লিখুন :