ঢাকা সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫

লবঙ্গের উপকারিতা-অপকারিতা

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৫, ১১:০৯ এএম
লবঙ্গ ছবি: সংগৃহীত

লবঙ্গ একটি সুপরিচিত মসলা। যা খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ।

লবঙ্গের পুষ্টিগুণ

লবঙ্গে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনলস থাকে, যা মানব শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে। এছাড়াও এতে ম্যাঙ্গানিজ, লোহা, সেলেনিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের মত খনিজ পদার্থও থাকে। এসব উপাদান শরীরের পরিপাকেও কাজ করে। বদহজম, বায়ু, কোষ্ঠকাঠিন্য এসব সমস্যা দূর করতেও কাজ করে লবঙ্গ। এমনকি দাঁত ও দাঁতের মাড়ি জীবাণুমুক্ত করণেও লবঙ্গ বেশ উপকারী।

শরীরের যত্ন নেয়ার পাশাপাশি রান্নায়ও স্বাদ বাড়াতে পারে লবঙ্গ। কিন্তু বেশি পরিমাণে লবঙ্গ খেলে আপনার হতে পারে স্বাস্থ্যঝুঁকি, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা

লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে। যেমন, রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে লবঙ্গের নাইজেরিসিন উপাদানটি দারুণ কাজ করে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীরা এই  রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য লবঙ্গ খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।

সাইনাসের মাথাব্যথায় বেশ কার্যকরী লবঙ্গের তেল। এ ছাড়া বুকের ব্যথায় এর তেল মালিশে বেশ উপকার পাওয়া যায়। এর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণের জন্য দাঁতের ব্যথায় এটি খুব উপকারী।

দাঁত ও মাড়ি ব্যথায় লবঙ্গ পানির কুলকুচি নিয়মিতই করতে পারেন। এ ছাড়া অনেক কারণে পাকস্থলীতে আলসারের সমস্যা যেকোনো কারণেই হতে পারে।

এ সমস্যা থাকলে প্রতিদিন দুটি করে লবঙ্গ খেতে পারেন। কেননা, এই লবঙ্গ পাকস্থলীতে মিউকাস উৎপাদনে সাহায্য করে। এই মিউকাসই সংক্রমণের হাত থেকে পাকস্থলীকে রক্ষা করতে ঢাল হিসেবে কাজ করে।

রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা

যৌন স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করে।
 হজমশক্তি উন্নত করে।
 মানসিক চাপ কমায় এবং ঘুম ভালো করে।
 শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা দূর করে।
 রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
 দাঁতের যত্নে কার্যকর।
 রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।

লবঙ্গ খাওয়ার অপকারিতা

লবঙ্গের উপকারিতা পেতে বেশি পরিমাণে লবঙ্গ খাওয়া একদমই উচিত নয়। গবেষণায় দেখা গেছে, অকারণে লবঙ্গ অনেকেই মুখে পুরে রাখেন, যা শরীরে উপকারের চেয়ে অপকারই ডেকে আনবে আপনার জীবনে।

যাদের রক্তে শর্করার মাত্রা কম, তাদের কখনোই বেশি পরিমাণে লবঙ্গ খেতে নেই। কেননা, তাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত লবঙ্গ সেবন হাইপারগ্লাইসিমিয়ার কারণ হতে পারে।

অনেক চিকিৎসকই মনে করেন, যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে লবঙ্গ সেবনে র‌্যাশ বা চুলকানির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে লবঙ্গ সেবন করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

লবঙ্গ খাওয়ার নিয়ম

প্রতিদিন ২-৩টি লবঙ্গ খাওয়া নিরাপদ। অতিরিক্ত খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
খালি পেটে ১-২টি লবঙ্গ চিবিয়ে খান এবং কিছুক্ষণ পর হালকা গরম পানি পান করুন।
গরম পানিতে লবঙ্গ ভিজিয়ে রেখে সেই পানি পান করতে পারেন। মধু ও লবঙ্গ একসঙ্গে খেলে ঠান্ডা-কাশির সমস্যা দূর হয়।