গ্যাকোজিমা মলম হলো একটি বহুল ব্যবহৃত চর্মরোগ নিরাময়ের মলম, যা বিশেষ করে দাদ, কাউর, একজিমা এবং সোরাইসিসের মতো ত্বকের সমস্যায় ব্যবহৃত হয়।
উপাদানসমূহ
ডাইথ্রানল – ০.৭৫ গ্রাম
বোরিক অ্যাসিড– ১.৭৫ গ্রাম
স্যালিসাইলিক অ্যাসিড– ২.৫০ গ্রাম
গ্যাকোজিমা মলম ব্যবহারের নির্দেশনাবলি
প্রয়োগের পূর্বে আপনার হাত ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
সংক্রমণকৃত জায়গাটি পরিষ্কার এবং শুষ্ক করুন।
আপনার আঙুলের ডগায় মলম নিন।
মলমটি পাতলা করে প্রয়োগ করুন।
মলমটি সম্পূর্ণভাবে শোষিত না হওয়া পর্যন্ত আলতো করে ম্যাসাজ করুন।
প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার মলম প্রয়োগ করুন।
মলমটি প্রয়োগ করার পরে আপনার হাত ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
গ্যাকোজিমা মলম মূলত একটি অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিফাঙ্গাল মলম, যা ত্বকের নানা রকম সমস্যায় কার্যকরভাবে কাজ করে।

গ্যাকোজিমা মলমের উপকারিতা
দাদ সারাতে কার্যকর- গ্যাকোজিমা দাদের সংক্রমণজনিত চুলকানি, লালচে ভাব ও চামড়ার রুক্ষতা দূর করতে সাহায্য করে।
কাউর বা একজিমা উপশমে কার্যকর- গ্যাকোজিমা মলম ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং চুলকানি ও ফেটে যাওয়া বা র্যাশের উপসর্গে আরাম দেয়।
সোরাইসিসে উপকারী- ডাইথ্রানল ত্বকের কোষ বৃদ্ধির হার কমিয়ে সোরাইসিসের দাগ ও র্যাশ কমাতে সাহায্য করে।
চুলকানির জন্য ভালো- গ্যাকোজিমা মলম যেকোনো সংক্রমণজনিত ত্বকের চুলকানিতে আরাম দেয় এবং ইনফেকশন প্রতিরোধ করে।
ত্বকের মৃত কোষ দূর করে- গ্যাকোজিমা মলম থাকা স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ত্বকের উপরের মৃত কোষ ঝরিয়ে নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে।
বোরিক অ্যাসিডের মাধ্যমে জীবাণু ধ্বংস করে- গ্যাকোজিমা মলম অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবে কাজ করে এবং ইনফেকশন প্রতিরোধে সাহায্য করে।
গ্যাকোজিমা মলম যেমন উপকারী, তেমনি কিছু অপকারিতাও রয়েছে।
গ্যাকোজিমা মলমের অপকারিতা
ত্বকে জ্বালাপোড়া- অনেক সময় প্রয়োগস্থানে হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার জ্বালাপোড়া অনুভব হতে পারে। এটি ডাইথ্রানল ও স্যালিসাইলিক অ্যাসিডের কারণে হয়ে থাকে।
ত্বক লাল হয়ে যাওয়া- অতিরিক্ত ব্যবহারে বা সংবেদনশীল ত্বকে লালচে ভাব ও ফোলাভাব দেখা দিতে পারে।
অ্যালার্জি বা চুলকানি- কারও কারও ক্ষেত্রে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যেমন:তীব্র চুলকানি, ফুসকুড়ি, ফুলে যাওয়া।
ত্বক ক্ষয়ে যাওয়া বা দাগ হয়ে যাওয়া- মলমটি বেশি সময় রেখে দিলে বা অতিরিক্ত ব্যবহারে ত্বক পুড়ে যেতে পারে বা দাগ হয়ে যেতে পারে, বিশেষ করে সোরাইসিসে ব্যবহারের সময়।
চোখে লাগলে ঝুঁকি বেশি- যদি ভুলবশত চোখে লাগে, তাহলে চোখে তীব্র জ্বালাপোড়া ও পানি পড়া শুরু হতে পারে। এমন ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারে ত্বক পাতলা হয়ে যেতে পারে- এই দিকটি তুলনামূলকভাবে কম, তবে নিয়মিত দীর্ঘসময় ব্যবহারে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।