শ্বাসকষ্ট কোনো সাধারণ রোগ নয়। এটিকে অনেকের কাছে রোগ না বলে ভয়ানক অসুখ বললেই যেন ভালো হয়! শীতের সময় এ রোগের প্রকোপ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। শীতকালে সাবধান না থাকলে শ্বাসকষ্ট থেকে হার্ট আট্যাকও হতে পারে। পুরোপুরি সারিয়ে তোলা না গেলেও ছোট কয়েকটি কৌশল অবলম্বন করলে সহজেই আপনি শ্বাসকষ্ট এড়িয়ে চলতে পারবেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতকালে শ্বাসকষ্ট বাড়ার শঙ্কা বেশি। প্রাকৃতিক নানা কারণ এর জন্য দায়ী। তাই আগেই যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তাদের শীতকালে সাবধানতা অবলম্বন করা সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাবার উচিত, কোনোভাবেই রাস্তার পাশের তৈলাক্ত খাবার কিংবা দূষিত খাবার খাওয়া যাবে না।
খাদ্য তালিকায় প্রচুর পরিমাণে ফলমূল ও শাক-সবজি রাখতে হবে। খাবারের পাশাপাশি ভেষজ চা পানের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে । এছাড়া গরম পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান করা, চাইলে ব্ল্যাক কফিও পান করা যায় তবে দিনে তিন কাপের বেশি নয়।
এ তো গেল খাবার ও পানীয়ের কথা। এবার আসা যাক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে-
আপনি যে ঘরে থাকেন সেটি এবং আশপাশের সবকিছু পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন। ঘরে কার্পেট থাকলে আজই সরিয়ে ফেলুন। পোষা জীব-জন্তুকে কোনোভাবেই শোবার ঘরে প্রবেশ করতে দেবেন না। দিলেও খুব ভালোভাবে ঘর পরিষ্কার করে নিন।
এম এইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. ইকবাল হাসান মাহমুদের মতে-
একজন হাঁপানি রোগী যাতে শীতকালকে উপভোগ করতে পারে, তার উচিত গরম কাপড় এখনই বাক্স থেকে বের করে লন্ড্রিতে দিয়ে দেওয়া। কিংবা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ভালো করে রোদ্রে শুকিয়ে নিলেও হয়। ভালো করে আয়রন করে নিতে হবে যাতে মাইট না থাকে। ঘরে কার্পেট রাখবেন না। কাপের্টের মধ্যে মাইট বাড়ে। আর ঘর ঝাড়ু না দিয়ে মুছে ফেলবেন। অনেকে রয়েছে যাদের ঝুল ঝাড়ার অভ্যাস আছে, ঝুল ঝাড়বেন না। এখানেও মাইট বাস করে। এগুলো থেকে সাবধান হতে হবে। যাদের অ্যাজমা নেই তাদের দিয়ে ঝুল পরিষ্কার করাতে হবে। যাদের অ্যাজমা আছে তারা ঝুল পরিষ্কার করার অন্তত এক থেকে দুই ঘণ্টা পর ঘরে ঢুকবে। জোরে ফ্যান ছেড়ে দেবে। যাতে করে মাইটগুলো চলে যায়। সূর্যের আলো যাতে ঘরে প্রবেশ করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ঘরের ধুলো বাইরের ধুলো থেকে বেশি খারাপ। ঘরের ধুলো বংশ বিস্তার করে। তবে রোদে মাইট মরে যায়।
আপনার মতামত লিখুন :