ঢাকা বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ক্যারিয়ার হিসেবে কপিরাইটিং

আরফান হোসাইন রাফি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২৪, ০২:২৮ পিএম

ক্যারিয়ার হিসেবে কপিরাইটিং

ছবি: সংগৃহীত

ক্যারিয়ার শব্দটা মাথায় এলেই অনেকের মনে আচমকা একটা ভয় কাজ করে! কি হবে? কি করব? কোন পথে হাঁটব? এমন সব প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পথ হারান অনেক মেধাবী তরুণ-তরুণী। অথচ একটু চোখ মেলে তাকালেই পাওয়া যায় যথার্থ সমাধান। ক্যারিয়ারের জন্য পৃথিবীতে অনেক পথ বিদ্যমান তবে আপনি কোন পথে হাঁটবেন সে উত্তর আপনাকেই খুঁজে বের করতে হবে। বর্তমান সময়ে ক্যারিয়ার হিসাবে কপি রাইটিং নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন অনেকেই। আপনার মাথায়ও যদি ঘুরপাক খায় ক্যারিয়ার হিসাবে কপিরাইটিং কেমন! তাহলে জেনে নিন..

দিন দিন বাড়ছে কপিরাইটারদের চাহিদা। সেই চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আজ কপিরাইটিং একটি প্রতিষ্ঠিত পেশা। যদিও এই সেক্টরে অনেক সৃজনশীল ও দক্ষ কপিরাইটার রয়েছে; তবুও নতুনদের জন্য আছে যথেষ্ট কাজের সুযোগ। জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও কপিরাইটার নাহিদ হাসানের মতে, ‘অ্যাডভার্টাইসিং ওয়ার্ল্ডে কপিরাইটিং একটা দারুণ জায়গা। নতুনের জন্য এখানে রয়েছে প্রতিভা বিকাশের সুযোগ। বিশেষ করে সাহিত্যচর্চায় বুঁদ হয়ে থাকা কবি, সাহিত্যিক কিংবা ক্রিয়েটিভদের জন্য এটি চমৎকার পেশা। তবে অন্য পেশায়  জড়িত থেকে এ পেশাকে ধারণ করতে গেলে পথটা কিছুটা কঠিন হয়। কিন্তু যদি কেউ ক্যারিয়ার হিসাবে কপিরাইটিং কেই বেছে নেয়; তার জন্য কোনো পিছুটান নেই, রয়েছে মেধা বিকাশের দারুণ সুযোগ।’

এ বিষয়ে তরুণ কবি ও কপিরাইটার অভি চক্রবর্তী বলেন, ‘কপিরাইটিংয়ের সঙ্গে আমি দীর্ঘদিন যুক্ত আছি। শুরুতে কিছুটা অস্থিরতা কাজ করলেও ধীরে ধীরে এটি আমার মস্তিষ্কে, ধারণা, রসিকতা, সাহিত্যকর্ম, চিত্রকর্ম বা সংগীত রচনা, সমাধান, এবং আবিষ্কারের একটি সহজ পথ তৈরি করেছে। কেউ যদি অত্যন্ত আগ্রহ ও দৃঢ়তা নিয়ে কাজ করে তাহলে সে তার সৃজনশীল পরিবর্তন গুলো নিজেই উপলব্ধি করতে পারবে। এক কথায় বলা যায় এই পেশা মেধাবী প্রজন্মকে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গঠনে সাহায্য করবে।

কপিরাইটিংয়ে ক্যারিয়ারের দিকগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো..

উন্নয়ন বৃদ্ধি

এ পেশায় কাজ করার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লায়েন্ট ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা যায়। যার ফলে মেলে বিভিন্ন সৃজনশীল প্রকল্পে অংশগ্রহণ ও উন্নয়ন বৃদ্ধির সুযোগ।

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা

একজন কপি রাইটারের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কাজ করার জন্য চাপ সৃষ্টি হতে পারে এবং হতে হয় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা তাদের দক্ষতাকে বৃদ্ধি করে। যা একটি উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের জন্য প্রযোজ্য।

আর্থিক সুযোগ

কপিরাইটারদের রয়েছে বিভিন্ন আর্থিক সুযোগ-সুবিধা। কপি রাইটিংয়ের আয়, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং কর্মস্থল অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। ফ্রিল্যান্স কপিরাইটাররা করতে পারেন প্রকল্পভিত্তিক আয়; যা অভিজ্ঞতার সঙ্গে বৃদ্ধি পেতে পারে। আবার কোম্পানির সঙ্গে কাজ করে নিয়মিত কর্মী, স্থির বেতন এবং অন্যান্য সুবিধা লাভ করতে পারে। 

দক্ষতা ও যোগ্যতা

কপিরাইটিংকে ক্যারিয়ার হিসাবে নিলে বিভিন্ন দক্ষতা ও যোগ্যতার সৃষ্টি হয়। যেমন- পরিষ্কার, আকর্ষণীয় এবং প্রভাবশালী লেখা তৈরি করার সক্ষমতা, বিপণন বোঝার ক্ষমতা, নতুন ও উদ্ভাবনী ধারণা উদ্ভাবন করার দক্ষতা, ইংরেজি বা অন্যান্য ভাষায় গভীর জ্ঞান এবং প্রয়োগের দক্ষতা।

এ ছাড়াও এ পেশায় রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, ব্লগ, ওয়েবসাইট কনটেন্ট এবং ইমেইল মার্কেটিং সামগ্রী লেখার সুযোগ। যা মেধাবীদের সৃজনশীল বুদ্ধিবিকাশে সহায়তা করে।

আরবি/জেআই

Link copied!