ঢাকা রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

মানা করার ভিন্ন উপায়

নদীকান্ত

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪, ০৪:৫০ পিএম

মানা করার ভিন্ন উপায়

ছবি: সংগৃহীত

প্রতিটি সন্তানের আবদারের জায়গা তার মা-বাবা। ভোর থেকে মধ্যরাত অবধি তাই তাদের বায়নার কোনো শেষ থাকে না। মা-বাবাও সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করে সে বায়নার কোনো কমতি না রাখতে। তবে বাস্তবতা সবকিছু মিলিয়ে নিতে দেয় না। তাই মাঝে মধ্যে ছোট-বড় আবদারগুলোর ক্ষেত্রে মানা করতে হয়। তবে তা মেনে নিতে পারে না অবুঝ শিশুদের মন। এর কারণ হতে পারে মানা করার সঠিক উপায় অবলম্বন না করা। শিশুরা যেমন অল্পতেই খুশি হয় তেমন অল্পতেই রেগে যায় কিংবা ভীষণ মন খারাপ করে। কখনো কখনো সেই মন খারাপ বয়ে আনে বিপদের আশঙ্কা। তাই শিশুদের কোনো কিছুতে মানা করতে হলে অবলম্বন করতে পারেন মানা করার কিছু ভিন্ন উপায়—

ভাষা,গলার স্বর এবং অঙ্গভঙ্গির শান্তভাব: সন্তানদের মানা করার ক্ষেত্রে অনেক সময়েই মা-বাবারা কঠিন ভাষা, উগ্রস্বর এবং অঙ্গভঙ্গির অপপ্রয়োগ করে থাকেন। যা শিশুদের তীব্রভাবে আঘাত করে। তাই সন্তানদের কোনো কিছুতে মানা করতে হলে ভাষা, গলার স্বর এবং অঙ্গভঙ্গির শান্তভাব ধরে রাখা খুবই জরুরি। না হয় হিতে বিপরীত ঘটতে পারে।

স্পষ্টতা অপরিহার্য: সন্তানের আবদার যখন শুরু হয়, তখন মা-বাবাকে পরিষ্কারভাবে এবং সোজাসুজি বলতে হবে, কী করা যাবে না বা কী করা উচিত। উদাহরণস্বরূপ, যদি সন্তান চকোলেটের আবদার করে, মা-বাবা বলতে পারেন, ‘আজ চকোলেট খাওয়ার সময় হয়নি, কারণ আমাদের খাবার সময় নিয়ম মেনে চলতে হবে।’ এভাবে তারা বোঝাতে পারেন যে আবদারের পেছনে যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে। যা সন্তানদের মেনে নেওয়ার ক্ষেত্রে সহজ হবে।

কারণ ব্যাখ্যা: মানা করার ক্ষেত্রে সন্তানদের কারণ ব্যাখ্যা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের মনের মধ্যে কৌতূহল থাকে, এবং তারা জানতে চায় কেন তাদের আবদার পূরণ হচ্ছে না। মা-বাবা যদি সন্তানের কাছে নির্দিষ্ট কারণে ব্যাখ্যা করেন, তাহলে সন্তান বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ‘চকোলেট অনেক মিষ্টি, তাই এটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।’

শান্তভাবে আলোচনা: আবদারের সময় উত্তেজিত না হয়ে, শান্তভাবে এবং ধৈর্যের সঙ্গে কথা বলুন। মা-বাবার শান্ত আচরণ শিশুদের শান্ত রাখতে সহায়তা করে।

মডেলিং: মানা করার ক্ষেত্রে মডেলিং করা অত্যন্ত কার্যকর। মা-বাবা নিজেরা নিয়ম মেনে চললে শিশুরাও তা অনুসরণ করবে। যদি মা-বাবা নিয়মিতভাবে সুস্থ খাদ্যাভ্যাস মেনে চলেন এবং তাদের আবদারের ক্ষেত্রে ধৈর্য ধারণ করেন, তাহলে সন্তানদের জন্য এটি একটি ভালো উদাহরণ হয়ে দাঁড়ায়।

অভিনন্দন ও প্রশংসা: যখন সন্তান কোনো আবদার পূরণ না হওয়া সত্ত্বেও ধৈর্য ধরে থাকে, তাদের প্রশংসা করুন। এটি তাদের আবদারের ক্ষেত্রে ইতিবাচক আচরণ বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

এই পদ্ধতিগুলো সন্তানের আবদার সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে এবং একটি স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক বজায় রাখার সহায়ক হিসাবে কাজ করবে যা শিশুদের আবদারের ক্ষেত্রে সীমাবোধ শিখাবে।
 

আরবি/ আরএফ

Link copied!