এলিট কিংবা আভিজাত্যসম্পন্ন ব্যাচেলর; সমাজের এই শ্রেণির মানুষদের জীবনধারা এবং চিন্তাধারা অন্যদের থেকে বেশ আলাদা। তারা সাধারণত নিজেদের লক্ষ্য অর্জনে অত্যন্ত মনোযোগী এবং যেকোনো ধরনের সম্পর্কের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করে। কখনো কখনো স্বতন্ত্র জীবনযাপনে তারা অন্যের সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা করে না। নিজের স্বপ্নের প্রতি অনঢ় থেকে আড্ডা, ভ্রমণ, পার্টি, ফিটনেস এবং হেলথ কেয়ারের মধ্য দিয়ে চলতে থাকে তাদের স্বপ্নের বিলাসবহুল জীবনযাত্রা। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের ব্যবসায়ী জনাব হাফেজ শিহাবুদ্দীন এবং গৃহিণী বিবি হাজেরা স্বর্ণার ছেলে ফখরুল ইসলাম তেমনই একজন। তার জীবনের গল্প জানাতে দৈনিক রূপালী বাংলাদেশকে তিনি বলেন,
‘আমি ছোটবেলা থেকেই স্বপ্নদ্রষ্টা। মা-বাবার অত্যন্ত আদরে বেড়ে উঠেছি। স্বপ্ন দেখতে শিখেছি। স্বপ্নের টানে গ্রাম ছেড়ে শহরে এসেছি, ফ্ল্যাট নিয়ে থাকছি। ব্যাপারটা যে শুধুই বিলাশিতা তা কিন্তু না। আসলে মানুষ অভ্যাসের দাস! ছোট থেকে যে যেভাবে বেঁচে থাকতে শিখে তার সেভাবেই বেঁচে থাকতে হয়; আমার ক্ষেত্রে ঠিক এমনটাই। ভ্রমণ, পার্টি, শরীরচর্চা ইত্যাদি যাকে আসলে মানুষ বিলাসিতা বলছে সেগুলো হয়তো অনেকের ক্ষেত্রে বিলাসিতা না-ও হতে পারে। এসবকিছুই নিজেকে সুস্থ সবল রাখার উপায় মাত্র। নিজে সুস্থ না থাকলে স্বপ্নের প্রতি কীভাবে অগ্রসর হবো? তাই সবসময় মানসিক কিংবা শারীরিক স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। পৃথিবীর সব মানুষেরই কোনো না কোনো স্বপ্ন থাকে। আমারও আছে, সে স্বপ্নটা পূরণ করতেই এই ব্যাচেলার জীবনে পড়ে আছি। পড়াশোনার পাশাপাশি টুকটাক ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত আছি। ইচ্ছে আছে একদিন সফল ব্যবসায়ী হবো। সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের পাশে দাঁড়াব। যদিও এখন থেকেই এর কাজ আমি শুরু করে দিয়েছি।
বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে ইতোমধ্যে নিজ গ্রামে ‘আনুকূল্য ফাউন্ডেশন’ নামের একটা সংগঠনও পরিচালনা করছি। আশা করি একদিন এই সংগঠনের সেবা দেশের সব জায়গায় বিচরণ করবে। যেখানে আমার একটি স্বপ্নের প্রজেক্ট হচ্ছে বেকারদের নিয়ে কাজ করা। আমার সামর্থ্য যতটুকু হয় তার মধ্যে আমি বেকারদের জন্য কাজ করে যাব। বেকারত্ব আমাদের দেশে অভিশাপস্বরূপ। আমি চাই এ অভিশাপ থেকে যেন তারা মুক্তি পায়। আমার এই স্বপ্নটা আমি যেকোনো মূল্যে পূরণ চাই। মানুষের প্রয়োজনে যা কিছু করার করব। প্রয়োজনে জনপ্রতিনিধি হতেও আমি প্রস্তুত আছি। মা-বাবার দোয়া নিয়ে একদিন ঠিক এসব স্বপ্ন আমি শতভাগ পূরণ করব, ইনশাআল্লাহ।’
আপনার মতামত লিখুন :