শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫, ০৬:১২ পিএম

যেসব অভ্যাসে কমবে হৃদরোগের ঝুঁকি

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫, ০৬:১২ পিএম

যেসব অভ্যাসে কমবে হৃদরোগের ঝুঁকি

ছবি: সংগৃহীত

হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস রয়েছে, যা আপনার জীবনযাত্রা সুস্থ ও ভালো রাখতে সহায়ক হতে পারে। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে আমাদের দৈনন্দিন অভ্যাসের ওপর নির্ভর করে, তাই কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস পালনের মাধ্যমে এই ঝুঁকি কমানো সম্ভব। চলুন, জেনে নিই সেসব অভ্যাসের বিস্তারিত:

১. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস হৃদরোগ প্রতিরোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রচুর পরিমাণে ফলমূল, শাকসবজি, এবং অঙ্কুরিত শস্য খাওয়ার মাধ্যমে আপনার শরীর প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার পাবে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, অতিরিক্ত স্যাচুরেটেড চর্বি এবং শর্করা কমানোর মাধ্যমে আপনি আপনার কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।

২. নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম
হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৩০ মিনিট মাঝারি-তীব্রতা ব্যায়াম যেমন হাঁটা, সাইকেল চালানো বা সাঁতার কাটা আপনার হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে। ব্যায়াম হৃদরোগের কারণগুলো যেমন অতিরিক্ত ওজন, উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে।

৩. ধূমপান এবং অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকা
ধূমপান এবং অতিরিক্ত অ্যালকোহল খাওয়া হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। ধূমপান রক্তনালী সংকীর্ণ করে, রক্তচাপ বাড়ায় এবং কোলেস্টেরল লেভেল বাড়ায়, যা হৃদরোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এই দুটি অভ্যাস ত্যাগ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৪. ওজন নিয়ন্ত্রণ
অতিরিক্ত ওজন হৃদরোগের অন্যতম প্রধান ঝুঁকি কারণ। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজন উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

৫. মানসিক চাপ কমানো
মানসিক চাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। ধ্যান, যোগব্যায়াম এবং প্রশান্তি নিয়ে মানসিক চাপ কমানো উচিত। পর্যাপ্ত ঘুম এবং শখের সময়ও মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক হতে পারে। একান্ত সময় কাটানো এবং সুস্থ পরিবেশে থাকা আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে।

৬. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা
উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়, তাই নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করা উচিত। যদি রক্তচাপ বেশি থাকে, তবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, কম লবণ খাওয়া এবং প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ গ্রহণ করা উচিত।

৭. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ
উচ্চ কোলেস্টেরলও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। আপনার ডায়েটে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ট্রান্স ফ্যাটের পরিমাণ কমিয়ে এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেয়ে আপনি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। এটি হৃদযন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা বজায় রাখে।

৮. পানি বেশি পান করা
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা শরীরের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া সহায়ক এবং রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। হাইড্রেটেড থাকা হৃদরোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৯. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
ডায়াবেটিসও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি। স্বাস্থ্যকর ডায়েট, ব্যায়াম এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।

১০. নিরাপদ জীবনযাপন
সাধারণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেমন সড়ক দুর্ঘটনা, শারীরিক দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে।

এই অভ্যাসগুলো প্রতিদিনের জীবনে নিয়মিত অনুসরণ করলে আপনি দীর্ঘকাল সুস্থ থাকতে পারবেন এবং হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমাতে পারবেন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!