বর্তমানে সকাল-সন্ধ্যায় কিছুটা ঠান্ডা অনুভব হওয়ায় বোঝা যায় শীতকাল ঘরের দরজায় কড়া নাড়ছে। কালের পালাবদলে পোশাকের রঙঢঙেও আসে পরিবর্তন, সৌন্দর্যের মধ্যে দেখা যায় ভিন্নতা। হাল ফ্যাশনে হুডি এখন দারুণ জনপ্রিয়। কানঢাকা টুপি বা মাফলার দিয়ে শীতকে মানানো যায়; তবে ব্যাপারটা একটু আদিকাল মনে হয়। শুধু হুডিটা টেনে মাথা ঢেকে নিলে ফ্যাশনেবল লাগে। পাওয়া যায় বাড়তি উষ্ণতাও। একটা সময় হুডি ব্যবহার হতো শুধু জ্যাকেটেই। জিপারওয়ালা বা জিপার ছাড়া বড় পকেটসহ হুড থাকত পোশাকে। তবে শুধু জ্যাকেটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই হুডি। এখন বিভিন্ন ধরনের হুডি পাওয়া যায়। সোয়েটার, শার্ট, পাঞ্জাবি, টি-শার্ট নানা ধরনের পোশাকে হুড ব্যবহার করা হচ্ছে। নানা কাটের টপ তৈরি হচ্ছে মেয়েদের জন্য; সঙ্গে হুড তো রয়েছেই। এক্সটেসি, ওয়েস্টেকস, ক্যাটস আই, নোঙর, ইজি, ট্রেন্ডসসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পোশাকের দোকানে নানা ডিজাইনের হুডসহ এসব পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। চামড়ার তৈরি হুডসহ জ্যাকেটও আছে। তবে এর দাম তুলনামূলক বেশি। মেয়েদের জন্য আছে নানা রঙের স্ট্রাইপ দেওয়া হুডি। ঢাকায় ‘ইজি’সহ বর্তমানে দেশীয় অনেক ফ্যাশন হাউস রয়েছে, যারা বিভিন্ন দেশি ঢঙের পোশাকে হুড ব্যবহার করছে। এমনকি বিভিন্ন ধরনের পাঞ্জাবিতেও হুড ব্যবহার করা হচ্ছে। পাট, সুতি কাপড়ের ফতুয়ায় হুড ব্যবহার করা হচ্ছে। আজকাল তরুণ-তরুণীরা এ পোশাকটিকে ফ্যাশন স্টেটমেন্টে পরিণত করেছে। ছোট শিশুদের পোশাকেও হুড জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। ছেলে-মেয়ে উভয়ই এ পোশাকে শীতের দিনে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। এ প্রসঙ্গে বর্তমান সময়ের চিত্রনায়িকা সারা জেরিন বলেন, শীতকালে জিন্স টি-শার্ট বাসায় পরেন। বাইরে বের হলে হুডি জ্যাকেট পরি। ঠান্ডার সমস্যা থাকায় কান টুপি, হুডি, মাফলার সব সময় পরে থাকি। শীতের বিয়ের দাওয়াতে শাড়ি-শাল পরে থাকি। বিশেষ প্রোগ্রামে আমি জিন্স টি-শার্ট পরি, আর সঙ্গে জ্যাকেট। শীতে বিষয়টি এমন দাঁড়ায়, সালোয়ার কামিজের সঙ্গে হুডি; জিন্স টিশার্টের সঙ্গেও হুডি।
আপনার মতামত লিখুন :