ঢাকা বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

প্রিয় মানুষটিকে আলিঙ্গন করে নিন মানসিক শান্তি

তাহমিনা বৃষ্টি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৪, ০২:৪৬ পিএম

প্রিয় মানুষটিকে আলিঙ্গন করে নিন মানসিক শান্তি

ছবি: সংগৃহীত

কাউকে ভালোবেসে জড়িয়ে ধরার আছে অনেক উপকারিতা। ভালোবেসে কাউকে আলিঙ্গন করলে নিরাপত্তার অনুভূতি হয়। সেই সঙ্গে বাড়ে বিশ্বাস ও আস্থা। আলিঙ্গন করলে বৃদ্ধি পায় মানসিক শান্তি। সেই সঙ্গে কমে যায় অস্থিরতা। জেনে নিন প্রিয়জনের আলিঙ্গনের ৭টি উপকারিতা।

১.মনের ভয় দূর করে দেয়

প্রিয় মানুষটিকে আলিঙ্গন করলে মন থেকে সব ভয় দূর হয়ে যায়। সাইকোলজিক্যাল সাইন্স জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে, আলিঙ্গন করলে মৃত্যুর ভয় অনেকটাই কমে যায় মানুষের। সেই সঙ্গে কমে যায় দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ। এমনটি একটি জড় বস্তু যেমন টেডি বিয়ারকে আলিঙ্গন করলেও যে কোনও ভয় কমে যায় অনেকখানি।

২.হৃৎপিন্ডের জন্য উপকারী

 একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে যে, আলিঙ্গন করলে হৃৎপিন্ড ভালো থাকে বহুদিন। ইউনিভার্সিটি অফ নর্থ ক্যারোলিনার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে করা আরেকটি গবেষণায় বলা হয়েছে, আলিঙ্গন করার পর গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের হার্টবিট বেড়ে গিয়েছে অনেকখানি।

৩.মানসিক চাপ কমায়

প্রিয়জনকে আলিঙ্গন করলে মানসিক চাপ কমে যায় একেবারেই। প্রচন্ড মানসিক চাপ কিংবা কাজের চাপে থাকলে ভালোবাসার মানুষটিকে আলিঙ্গন করুন। তাহলে নিমিষেই দূর হয়ে যাবে মানসিক চাপ। সেই সঙ্গে মনে সাহস পাবেন। আলিঙ্গন করলে মানসিক চাপ সৃষ্টিকারী হরমোন কর্টিসলের পরিমাণ কমে যায় সঙ্গে সঙ্গেই৷ ফলে মন হালকা লাগে এবং শরীরে শিথিলতা আসে।

৪.মন ভালো হয়ে যায় আলিঙ্গন করলে শরীরে অক্সিটসিনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। অক্সিটসিন মনের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি করে৷ যা ভালো লাগার অনুভূতি সৃষ্টি করে। ফলে কাউকে আলিঙ্গন করলে মন ভালো হয়ে যায় এবং বিশ্বাস ও আস্থা বেড়ে যায়।

৫.উচ্চ রক্তচাপ কমে যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে৷ তারা প্রিয়জনকে আলিঙ্গন করুন। কারণ যত বেশি আলিঙ্গন করা হবে, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। কাউকে আলিঙ্গন করলে মানসিক প্রশান্তি মেলে৷ যা রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। আলিঙ্গন করলে প্রিয়জনের ত্বকের সঙ্গে স্পর্শ লেগে পেসিনিয়ান করপাসক্যালসকে কার্যকরী করে। পেসিনিয়ান করপাসক্যালস ভেগাস নার্ভকে সিগন্যাল পাঠায়। ফলে উচ্চ রক্তচাপ কমে যায়।

৬.শিশুদের জন্য আলিঙ্গন শিশুদের জন্য আলিঙ্গন খুবই উপকারী। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, প্রতিদিন শিশুদেরকে যত বেশি আলিঙ্গন করা হয় তাদের মধ্যে ভয়, অস্থিরতা, মানসিক চাপ তত কমে যায়। অর্থাৎ বড়দের মতই ছোটদেরকে আলিঙ্গন করলেও স্ট্রেস হরমোন কমে যায়।

৭.বার্ধক্যে আলিঙ্গন জরুরি বয়,কালেও প্রয়োজন প্রিয় মানুষদের আলিঙ্গন। ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণা থেকে জানা যায় যে, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আলিঙ্গনের প্রয়োজনীয়তা আরও বৃদ্ধি পায়। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হতাশা ও বিষণ্ণতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পায়

আরবি/জেআই

Link copied!