ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

চাকরির পাশাপাশি সন্তানকেও সময় দিই

তাহমিনা বৃষ্টি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২৪, ০৪:০৫ পিএম

চাকরির পাশাপাশি সন্তানকেও সময় দিই

ছবি: ইন্টারনেট

অফিসের পোশাক পরতে দেখলেই মেয়ে এসে জাপটে ধরে। ছাড়তে চায় না। রাস্তায় এসে ফিরে তাকালে দেখতে পাই, মেয়ে জানালা ধরে তাকিয়ে আছে। তবু বাস্তবতা মেনেই মেয়েকে যতটুকু সম্ভব সময় দেওয়ার চেষ্টা করে থাকি। প্রায় একই গল্প সব কর্মজীবী মা-বাবার। তবে তারা চাইলে অফিস মেইনটেইন করেও সন্তানকে কোয়ালিটি টাইম দিতে পারেন। যেমনটা আমি দিয়ে থাকি আমার সন্তানদের।
সকালে ঘুম থেকে উঠা
চেষ্টা করি খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতে। এতে কিছুটা বেশি সময় সন্তানকে দেওয়া যায়। বিষয়টা কর্মজীবী মা-বাবার জন্য কিছুটা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। সন্তানকেও আগে আগে জাগিয়ে দেই। ওকে পড়াশোনার ফাঁকে আমার প্রাত্যহিক কাজেও সাহায্য করতে বলি। পরিবারের সবার সকাল সকাল জাগার অভ্যাস তৈরি হয়ে গেলে এটা আর কঠিন কিছু মনে হবে না।
অফিসের ফাঁকে ভিডিও কল
অফিস চলাকালীন খানিকটা অবসর সময় খুঁজে বের করে বাচ্চাদের ভিডিও কল দিয়ে কথা বলি। হতে পারে লাঞ্চের পর ১০ মিনিট। কিংবা আমার সুবিধাজনক সময়ে। এই সময়ে সন্তানকে ভিডিও কলে যুক্ত করে দুজন গল্প করি কিছু সময়। বাসায় সে কী করছে জানতে চাই। তার কোনো অসুবিধা হচ্ছে কিনা তাও জিজ্ঞেস করি। দুজনই মধ্যবিরতির সময়টা উপভোগ করি।
বিকেল বা রাতেও গুণগত সময়
অফিস থেকে ফিরে বিকেলে বা রাতেও কিছুটা সময় সন্তানকে নিয়ে কাটাই। যদি একটু আগে বাসায় ফিরতে পারি তাহলে ওকে নিয়েই হাঁটতে বের হয়ে যাই। আমার ওয়ার্ক আউটের সময় ওকে সাইকেল চালাতে উৎসাহ দেই। রাতে খাবার টেবিলে সবাই একসঙ্গে খেতে বসি এবং গল্প করি। ছোট ছোট এসব অভ্যাসের মাধ্যমেই সন্তানকে কোয়ালিটি টাইম দেওয়া যায়।
ছুটির দিন সন্তানকে দিন
ছুটির দিনে সারা সপ্তাহের জন্য কত পরিকল্পনাই তো জমে থাকে। এসব পরিকল্পনার মধ্যে সন্তানের কথা ভুলে গেলে চলবে না। বরং সন্তানকে প্রাধান্য দিয়ে অন্যসব পরিকল্পনা সাজাতে হবে। আপনি যদি কর্মজীবী মা-বাবা হয়ে থাকেন তাহলে ছুটির দিনটা সন্তানকে দেওয়াই সবচেয়ে বেশি জরুরি। ছুটির দিন সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে যাই। সন্তানের প্রিয় কার্টুন একসঙ্গে বসে দেখি। কিংবা বাচ্চার প্রিয় খাবার রান্না করে দেই। সারা সপ্তাহে সন্তানের পড়াশোনা, বন্ধু, স্কুল ও সহপাঠীদের সম্পর্কে নানা গল্প করি।

আরবি/ এম এইচ এম

Link copied!