শীতের শুরুতেই প্রকৃতি এক নতুন চাদরে ঢাকা পড়ে, আর ঘর-বাড়ি নতুন করে সাজানোর এটাই সেরা সময়। দীর্ঘদিনের একঘেয়ে রঙ ও আসবাব বদলে ঘরকে নতুনভাবে সাজানো শুধু মনোরম পরিবেশই সৃষ্টি করে না, বরং শীতকালের আলসেমিতেও মনকে করে ফুরফুরে। শীতকালীন ঘর সাজানো নিয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার এবং কারিগর আর্কিটেক্টস অ্যান্ড ইন্টেরিয়রের সিইও মো. সাগর হোসেন।
তার মতে, শীতে ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে রঙ নির্বাচন প্রথম এবং গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। শীতের সময়ে সূর্যের আলো কম পাওয়ার কারণে ঘরের জন্য সাদা, ধূসর, হালকা বাদামি বা গোলাপি রঙ নির্বাচন করা যায়।
বেডরুমের ক্ষেত্রে হালকা নীল বা ধূসর রঙ দেয়ালে ব্যবহার করলে প্রশান্তি পাওয়া যায়। ছোট ডাইনিং স্পেসে দেয়ালের একটি অংশে লাল বা গাঢ় রঙ যোগ করা যেতে পারে, যা জায়গাটিকে উজ্জ্বল ও চিত্তাকর্ষক করে তোলে। শিশুদের ঘরের সাজে ছেলেশিশুর জন্য নীল বা সবুজ এবং মেয়েশিশুর জন্য গোলাপি রঙ চমৎকার পছন্দ হতে পারে। ঘরের অবস্থানও গুরুত্বপূর্ণ। রুম যদি ব্যালকনি বা বারান্দার কাছে থাকে, তাহলে সকালের মিষ্টি রোদের উষ্ণতা শীতের দিনগুলোকে আরও সজীব করে তোলে।
বেডরুমের বেডশিট, কুশন, বালিশ এবং কম্বলের রঙ একধরনের হলে ঘর আরও আকর্ষণীয় দেখায়। বিছানার পাশে একটি ছোট কাঠের টেবিল বা বারান্দায় একটি ইজি চেয়ারের সংযোজন শীতের আমেজ উপভোগের জন্য আদর্শ। শীতকালে ঘরের মেঝেতে কার্পেট ও ম্যাটের ব্যবহার ঘরে উষ্ণতা ও সৌন্দর্য এনে দেয়। তবে তন্তুর মান খারাপ হলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে বলে কাশ্মীরি ম্যাট ব্যবহার করাই ভালো। এছাড়া সোফায় আর্টিফিশিয়াল পশমের কুশন ও ফ্ল্যানেল বা ভেলভেটের তৈরি হালকা কম্বল শীতকালে আরামদায়ক ও কার্যকর।
ঘরের উষ্ণতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন মোমবাতি ব্যবহারে দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ তৈরি হয়। ফায়ারপ্লেস না থাকলেও রুম হিটার একটি কার্যকরী বিকল্প। তবে নতুন আসবাব কিনতে না পারলে ঘরের পর্দা বা বিছানার চাদরে নতুন ব্লকের ডিজাইন এনে সহজেই পরিবর্তন আনা যায়। মো. সাগর হোসেনের মতে, শীতে ঘর সাজাতে সাধ্যের মধ্যে পরিকল্পিত পরিবর্তনই যথেষ্ট। একটু সচেতনতা আর সৃজনশীলতায় শীতকালীন ঘর হতে পারে উষ্ণ, আরামদায়ক এবং একেবারে নতুন।
আপনার মতামত লিখুন :