ঢাকা শনিবার, ০৪ জানুয়ারি, ২০২৫

নতুন বছরের প্রত্যাশা

ফিচার ডেস্ক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১, ২০২৫, ০৩:৪৩ পিএম

নতুন বছরের প্রত্যাশা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

নতুন আলোয় উদ্ভাসিত হোক এ ধরা। আনন্দ-উৎসবে মেতে উঠেছে প্রকৃতি। বিশ চব্বিশের জঞ্জাল ফেলে এসেছে বিশ পঁচিশ। ভালোবাসার নতুন বারতা নিয়ে এসেছে নতুন বছর। কালের পরিক্রমায় দেশ এগিয়ে যাবে। রূপালী বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য নববর্ষের শুভ কামনা দিয়েছেন পরিবেশবিজ্ঞানী, নদী গবেষক, ভ্রমণকারী, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, নারী উদ্যোক্তা, রেস্টুরেন্ট মালিক, হারিয়ে যাওয়া পর্যটক, ভবঘুরে, মধ্যম আয়ের মানুষ। তুলে ধরেছেন— আরফান হোসাইন রাফি, মির্জা হাসান মাহমুদ, মিনহাজুর রহমান নয়ন ও তাহমিনা বৃষ্টি

দূর্যোগমুক্ত একটি বাংলাদেশ হোক

সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা। ২০২৫ সাল হোক বাংলাদেশের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্টি ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা ইত্যাদি দূর্যোগমুক্ত একটি বাংলাদেশ; যেখানে মানুষ থাকবে নিরাপদ। প্রতিনিয়ত একটি সুস্থ সুন্দর পরিবেশে থেকে তাদের জীবন থাকবে সুস্থ এবং স্বাভাবিক। পাশাপাশি আমি চাই, একটি সুষ্ঠু সুন্দর রাজনৈতিক পরিবেশ; যেখানে মানুষ স্বাভাবিক জীবনের নিরাপত্তা পাবে এবং সবসময় দুশ্চিন্তামুক্ত থাকবে। বাজারমূল্য থেকে শুরু করে সবকিছু থাকবে মানুষের নাগালের মধ্যে। যেখানে কোনো ধনী-গরিব ভেদাভেদ থাকবে না। সকল মানুষের জন্য থাকবে রাষ্ট্রের প্রদত্ত সব অধিকারের সমান সুযোগ। আমি আরও চাই যে, এই আগামী বাংলাদেশ হোক একটি ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত এবং ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসের পাশাপাশি আমাদের দেশে অতিমাত্রায় কার্বন পলিউশন থেকে মুক্ত একটি সুস্থ সুন্দর বাংলাদেশ। এতে করে, মানুষ যেমন পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে নিজে রক্ষা পাবে, অন্যভাবে মানুষ  তার প্রাণ প্রকৃতির যে সম্পদগুলো, যেমন:- উদ্ভিদ এবং প্রাণীসম্পদ রক্ষা করতে সচেষ্ট হবে, সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে, পাশাপাশি আমরা জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বেরিয়ে এসে উন্নত টেকসই জ্বালানিতে নিজেদেরকে অভ্যস্ত করতে পারবো। নতুন বছরে আমি সে আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরী 
পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

নদী নিয়ে তিনটি ‘পূরণযোগ্য’ প্রত্যাশা

নতুন বছরে নদী নিয়ে অনেক প্রত্যাশাই করা যায়; সব নদী দখল ও দূষণ মুক্ত হবে, নাব্য থাকবে, মৎস্যসম্পদে সমৃদ্ধ হবে, নদীনির্ভর পেশাজীবী অধিকার ফিরে পাবে। কিন্তু সব প্রত্যাশা যে একবছরে পূরণ সম্ভব নয়, সেটাও সত্য। কিন্তু অন্তত তিনটি প্রত্যাশা সরকার চাইলেই নতুন বছরের মধ্যেই পূরণ করতে পারে।
এক,‘পল্যুটারস পে’ নীতি বাস্তবায়ন। যারা নদী দখল ও দূষণের সঙ্গে জড়িতরাই দখল উচ্ছেদ ও দূষণমুক্তির খরচ যোগাবে। দখল-দূষণ ‘ব্যয়বহুল’ করে তুলতে পারলে আর কেউ সে পথে যাবে না।
দুই,জলমহাল ও বালুমহাল ইজারাপ্রথা বাতিল। এই দুই খাত থেকে বছরে ৫০০ কোটি টাকাও আসে না; ৭-৮ লাখ কোটি টাকার জাতীয় বাজেটের তুলনায় অতি সামান্য। কিন্তু এই এক আদেশে লাখ লাখ জেলে জীবিকা ও অধিকার ফিরে পাবে এবং বালুমহাল নিয়ে দুর্নীতি, চাঁদাবাজী, পরিবেশ ধ্বংস বন্ধ হবে।
তিন. যে এলাকায় নদী দখল-দূষণ হবে, সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরই জবাবদিহী করতে হবে; পদোন্নতি, বেতনবৃদ্ধি 
আটকে থাকবে।

শেখ রোকন
মহাসচিব, রিভারাইন পিপল

মানবতার আলোয় পথচলা শুরু করি

শুভ নববর্ষ!
প্রথমেই বলি, গত বছরটা আমার দারুণ কেটেছে; বিশেষ করে লেখালেখির ক্ষেত্রে। ইউরোপ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা আমার প্রথম ভ্রমণ কাহিনী প্রকাশিত হয়েছে। সেই সঙ্গে শঙ্খচূড়-এর পরবর্তী পর্বও শেষ করেছি, যা এই বছর প্রকাশ পাবে। ২০২৫ নিয়ে আমার পরিকল্পনা এবং স্বপ্ন লেখালেখিকে ঘিরেই। এটি আমার পেশা এবং আমার সবচেয়ে বড় ভালোবাসার জায়গা। তবে বর্তমান পৃথিবীর যে বিষয় আমাকে খুবই পীড়া দেয়; তা হলো, মানুষের ভেতর ক্রমবর্ধমান প্রতিহিংসা, বিদ্বেষ এবং ঘৃণার চর্চা। বর্তমান বিশ্বের মানুষ নিজে জেতার জন্য যেকোনো কিছু করতে প্রস্তুত, যা আমাদের সমাজকে অশান্ত এবং দুর্বিষহ করে তুলছে। আমার মনে হয়, এই প্রবণতা বদলানো সম্ভব, যদি আমরা একে অপরের প্রতি ভালোবাসা এবং সহানুভূতির চর্চা করি। প্রতিহিংসা, ঘৃণা আর বিভেদের দেয়াল ভেঙে যদি আমরা মানবতার আলোয় পথচলা শুরু করি, তাহলে আমাদের পৃথিবী সত্যিই আরও সুন্দর হয়ে উঠবে। এই নতুন বছরে আমার একান্ত চাওয়া হলো- মানুষ মানুষকে ভালোবাসুক, একে অপরকে সম্মান করুক, এবং শান্তি-সৌহার্দ্যের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করুক। নববর্ষের শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা রইলো সবার জন্য।

সাদাত হোসাইন
কথাসাহিত্যিক

এই বছরটা হোক স্বপ্নের বছর

সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা। নতুন বছরের শুরু হোক এক নতুন অভিযানের মাধ্যমে, যেখানে পাহাড়ের চূড়ায় ওঠার মতো সাহস এবং প্রকৃতির স্নিগ্ধতায় হারিয়ে যাওয়ার মতো শান্তি খুঁজে পাবেন। চলার পথে একেক মানুষ একেকভাবে নিজেকে আবিষ্কার করে নেয়। কেউ প্রেমের টানে সাংসারিক হয়, আবার কেউ প্রকৃতি প্রেমে আসক্ত হয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে হয় ভবঘুরে। তবে যে যাই হোক কেন, সবারই স্বপ্ন থাকে নিজেকে সুখী রাখার। এই বছরটা হোক সেই স্বপ্নের বছর। যে যেমন, আমরা যদি তাকে তেমনভাবেই গ্রহণ করি, তাহলে সমাজটা সৌহার্দপূর্ণ এবং সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে নিমিষেই। আমরা যদি নেগেটিভ থেকে বেরিয়ে পজিটিভ চিন্তাভাবনাকে আগে গুরুত্ব দিই, তাহলে আমাদের 
চারপাশটা আরো উপভোগ্য হবে। তাই আমার প্রত্যাশা নতুন বছরে মানুষের চিন্তাভাবনার পরিবর্তন হোক। জীবন কাটুক প্রকৃতির সান্নিধ্যে।

তাহুরা সুলতানা রেখা
মাউন্টেনিয়ার এবং ট্রাভেলার

সবার জন্য সেরা বছর হতে চলেছে

নতুন বছরের শুভেচ্ছা! জীবনের এই নতুন বছরে আমি চাই আমার পরিচিত এবং অপরিচিত সব মেয়েরা যেন নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়ে নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে, নিজেদের আয়ের উৎস খুঁজে বের করতে পারে এবং নিজেদের চাহিদা পূরণ করতে পারে। আমি ২৪-এ  আমার বাবাকে হারিয়েছি, যা আমার জন্য খুবই কষ্টের,  এই অনুভূতি আমি বুঝিয়ে বলতে পারব না। আমি চাই এই বছর আমার পরিবারের সকল সদস্যদের সঙ্গে সুন্দর মুহূর্ত তৈরি করতে এবং আমার প্রিয়জনদের বলতে চাই, ২০২৫ সালে আমি তোমাদের জন্য সুন্দর স্মৃতি, হাসি, ইতিবাচকতা, যত্ন এবং শান্তি উপহার দেব ইনশাআল্লাহ। আশা করি, ২০২৫  সবার জন্য সেরা বছর হতে চলেছে। নতুন বছরে সবার সঙ্গে সবার সম্পর্কগুলো আরও মজবুত হোক, একে অপরকে ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এবং সহানুভূতির মাধ্যমে আমরা পৃথিবীটাকে সুন্দর সম্মৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।  

বিবি ফাতিমা বেগম মুক্তা
নারী উদ্যোক্তা, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ

প্রত্যাশা খাবারের সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত

শুভ নববর্ষ ২০২৫
ফুওকোর পক্ষ থেকে সব ফুডিদের জানাই আন্তরিক শুভকামনা এবং কৃতজ্ঞতা। ফুওকো আজ এখানে দাঁড়িয়ে আছে আপনাদের ভালোবাসা এবং সাপোর্টের জন্যই। তাই আপনারাই আমাদের প্রথম এবং একমাত্র অগ্রাধিকার। নতুন বছরটি আমরা শুরু করতে চাই আপনাদের চাওয়াকে প্রাধান্য দিয়েই। মিটবক্স দিয়ে ফুওকোর যাত্রা শুরু। এবং ফাস্টফুডের বিশাল জগতে মিটবক্স বললেই ছোট্ট করে হলেও ফুওকোর নাম অবিসংবাদিতভাবেই চলে আসে। ছোট্ট ফুওকো আজ হাঁটি হাঁটি পা করে এগুচ্ছে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা চেষ্টা করছি মিটবক্সের পাশাপাশি আরও নতুন কিছু ইউনিক ফুড আইটেম নিয়ে ভোজনরসিকদের সামনে উপস্থাপন করতে। নতুন ফুড আইটেম লঞ্চ করা মানেই নতুন অফার। নতুন আইটেম ফুডিদের কাছে পরিচয় করে দেওয়ার জন্য ভালোমন্দ ফিডব্যাক নেয়ার জন্য নিত্যনতুন অ্যাডভেঞ্চারাস অফার থাকবেই সবার প্রিয় ফুওকোতে। এজন্য আমরা চাই এই নতুন বছরের ফুডফেস্টে কাস্টমারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। তাদের ভালো-মন্দের মতামত বা তাদের কী প্রত্যাশা ফুওকোর কাছে আছে তার ওপর ভিত্তি করেই এগিয়ে যাওয়া। নতুন বছরে ফুওকোর প্রত্যাশা খাবারের সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করে ভোজনরসিকদের নিত্যনতুন খাবারের স্বাদ আস্বাদনের সুযোগ করে দেয়া। হাঁটতে শিখেছে যে ছোট ফুওকো তাকে দৌড়াতে শেখানো।

খন্দকার নাইম হাসান
কো-ফাউন্ডার, ফুওকো

মানুষ হোন আগে

মানুষ হয়ে জন্ম নেয়াটা বড় কথা না! মনুষ্যত্ব অর্জন করো। সব ধর্মের ধার্মিকরাই ভালো মানুষ। সুতরাং মানুষ হোন আগে। তারপর যার যার ধর্মে নিজ নিজ জায়গায় মনুষত্ব অর্জন করে নিজধর্মে আলোকিত হোন। চেষ্টা করুন অন্যের জন্য কিছু করার, পশু পাখির প্রতি সদয় হোন। বিভিন্ন সময় আমাদের আশপাশে বন্ধু পরিজন অনেক বিপদে পড়ে; তাদের খোঁজখবর নিন। তারাও হয়তো কোন বিপদে আছে, আপনার কাছে যা খুব সামান্য; তার কাছে হয়তো আশার আলো। শুভ নববর্ষ।

ডা. সাদিকা মরিয়ম বুবলী
ডেন্টিস্ট, বুবলি ডেন্টাল কেয়ার

শফিক সাহেবের শুভ ইচ্ছা

নতুন বছরের শুভেচ্ছা সবাইকে!
নতুন বছর মানেই নতুন পণ, নতুন আশা। এবছর আমার পণগুলো একটু বিশেষ। এই বছর আমি আমার অতীতের সব ভুল থেকে শিক্ষা নেব। গত বছর আমার জীবন এমন হয়েছিল যেন, বাঘের মুখে পা দিয়ে বলেছি, এবার কী করি? নতুন বছরে তাই এই ধরনের পরিস্থিতি থেকে একশ হাত দূরে থাকব। আমি এবার নিজের বিবেক আর বুদ্ধি দুটোকেই কাজে লাগাব। গত বছর বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম শুধুই আবেগের ওপর ভর করে, যা পরে আমাকে এমন জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল যেখান থেকে ফেরার কোনো টিকিট ছিলো না। তাই এবার প্রতিটা কাজের আগে বিবেককে একবার জিজ্ঞেস করব, আর অবশ্যই বুদ্ধির সঙ্গে আলোচনা করবো।
এছাড়া আরেকটা বড় পরিকল্পনা নিয়েছি; তা হলো- কোনোভাবেই মিষ্টি কথার ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। গত বছর এমন কিছু মিষ্টি কথার প্রলোভনে পড়েছিলাম; যা শুনে মনে হয়েছিল, জীবন বুঝি এবার রাজার মতো হয়ে যাবে। কিন্তু রাজার রাজপ্রাসাদ তো দূরের কথা, ভাঙ্গা ঘরও জোটেনি কপালে।
সবাইকে বলব, নতুন বছরে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই বাস্তবতা যাচাই করুন। শুধু মুখের কথায় ভেসে যাবেন না। আর জীবনের লক্ষ্য থেকে সরে গিয়ে এমন কিছু করবেন না, যা আমার জীবনের মতো বল্লা’র গল্প হয়ে উঠবে।
সবাই ভালো থাকুন, সচেতন থাকুন। নতুন বছর সবার জন্য হোক শীতের সকালে এক কাপ গরম চায়ের মতো আরামদায়ক। কিন্তু সাবধান; গরমে যেনো মুখ না পুড়ে যায়!

জহির নামা

 শুভ নববর্ষ! নতুন বছর আমি আরও কিছু জায়গায় ঘুরবো। জানতে চাইব সেই জায়গার গল্প, সেখানে কী আছে, কী ছিলো, কী পরিণতি তাদের, এখন সেই জায়গার কী অবস্থা। আমি ঘুরে বেড়াতে চাই সেই সব জায়গায়; যেখানে মানুষের বিচরণ কম। বিচরণ- পাখি, প্রকৃতি, গল্প ও ইতিহাসের।  

হারুনের ডায়েরি

নতুন সূর্য উঠেছে। আলো ছড়িয়েছে পৃথিবীর বুকে। সময় তার নিয়মে এগিয়ে গেছে, আর আমরা পৌঁছে গেছি আরেকটি বছরের প্রান্তে। সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা। জীবন এক বহমান নদী। প্রতিটি দিন একেকটি শব্দ, একেকটি ঘটনা একেকটি বাক্য। গত বছরের গল্পগুলো কখনো আনন্দময়, কখনো বেদনায় ভারাক্রান্ত। তবুও জীবন থেমে থাকে না। প্রতিদিন আমরা ছোট ছোট চাওয়া, ছোট ছোট স্বপ্ন নিয়ে পথ চলি। কিন্তু সত্যিই কী থেমে যাই কোনো পূর্ণতার সামনে? নাকি পূর্ণতাও এক মরীচিকা, যা আমাদের আরও পথ দেখায়, আরও দূরে নিয়ে যেতে চায়?
আজ ১৯১৩ সাল। সময়টা পাল্টাচ্ছে, চারপাশের মানুষ, শহর, প্রকৃতি; সব কেমন যেন বদলে যাচ্ছে। তবুও কি বদলেছে মানুষের অন্তরের সেই চিরন্তন চাওয়া? নতুন আলোয় নতুন করে পথ খুঁজে নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা? এই নতুন বছরে আমার চাওয়া-মানুষ যেন তাদের অন্তরের গভীরে তাকায়। জীবনের বাহ্যিক শূন্যতা আসলে এক মিথ্যা; সত্যটা লুকিয়ে থাকে ভেতরে। দুঃখিনীর মুখে এক মুঠো ভাত, কারো মুখে এক ফোঁটা হাসি, কিংবা নদীর বুকে বয়ে যাওয়া স্রোতের মতো ক্ষণস্থায়ী মুহূর্তগুলোই সুখ। আমরা সুখকে খুঁজতে গিয়ে হারিয়ে না যাই; বরং প্রতিটি মুহূর্ত সুখে বাঁচতে শিখি।

আরবি/ আরএফ

Link copied!