ঢাকা বুধবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৪

কামরুজ্জামানের অনলাইনে শিক্ষাদান

মিনহাজুর রহমান নয়ন

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২৪, ০২:৪৭ পিএম

কামরুজ্জামানের অনলাইনে শিক্ষাদান

ছবি: সংগৃহীত

অনলাইন টিউটর হলো এমন একটি ক্লাস ব্যবস্থা, যেখানে একজন শিক্ষক তার শিক্ষার্থীদের ক্লাস অনলাইনেই নিতে পারেন ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এমনকি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাও অনলাইনে নেওয়া সম্ভব। তবে তার জন্য প্রয়োজন হয় কিছু সফটওয়্যার ও শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকা। টিচার অনলাইনে ক্লাস নিয়ে প্রয়োজনে শিক্ষার্থীর খাতাও মূল্যায়ন করতে পারেন এবং খুবই সহজে।

অনলাইনে শিক্ষাদান বিষয়টা বাংলাদেশে সার্বিকভাবে কম প্রচলিত থাকলেও একেবারে যে ছিল না তা কিন্তু নয়। আমরা ছোটবেলায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষণ কার্যক্রমের বিভিন্ন প্রোগ্রাম দেখতাম। বাংলাদেশের অনেক শিক্ষক এখন অনলাইনে তাদের ক্যারিকুলাম আপলোড করেন, কেউ কেউ ব্লগ হিসেবে, কেউ শিক্ষার্থীর বিভিন্ন প্রশ্নের আলোকে। এখন শিক্ষকের তুলনায় শিক্ষার্থীর গড় অনুপাত বেশি হওয়ায় একজন শিক্ষক সব শিক্ষার্থীদের ঠিকভাবে সাজেশন দিতে পারেন না তাই অনেক শিক্ষক সব প্রশ্ন একত্রে ভিডিও করে আপলোড করেন। আবার সেখানে কোনো প্রশ্ন কমেন্টে আসলে তার উত্তর দিয়ে দেন রিপ্লাইতে।

উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজের বাংলা মাধ্যমের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ কামরুজ্জান বলেন, ইউটিউবে ক্লাস দেওয়া শুরু করি ২০১৮ সালে। তবে করোনাকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল ক্লাসের সিস্টেম ছিল অনলাইনে। সেই সময়ে ইউটিউবে শিক্ষকতায় ভালো একটা প্রসার হয়; সঙ্গে সঙ্গে হয় আয়েরও ব্যবস্থা। কেউ চাইলে আয়ের জন্য শিক্ষকতা করতে পারে। তবে আমার আয়ের ইচ্ছা নেই। আমি চেয়েছিলাম প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকায় আমার ভিডিওর মাধ্যমে শিক্ষাটা যেন পৌঁছে যায়। প্রথমে আমি গণিতের ক্লাস নিয়ে ভিডিও বানানো শুরু করি এবং খুব ভালো সাড়া পাই। আমি ২০১৯ থেকে নিয়মিত ভিডিও বানানো শুরু করি; ৫ম শ্রেণি থেকে ১০ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকের আলোকে।
মোহাম্মদ কামরুজ্জান আরও বলেন, কেউ এই সিস্টেমকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেননি। তারা চেয়েছে শিক্ষার্থীর চাহিদা অনুযায়ী সাজেশন ভিডিও আকারে থাকুক; যাতে শিক্ষার্থীরা বাসায় গিয়েও যেকোনো সময় ক্লাসের বিষয়গুলোর ভিডিও দেখতে পারে; প্রবলেম সলভড করতে পারে।

উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজের এই শিক্ষকের Md. Kamrujjaman চ্যানেলে এখন পর্যন্ত ২৩৯টি ভিডিও দেখেছেন প্রায় ১ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ। এখন নিয়মিত ক্লাস থাকার কারণে ভিডিও একটু কম করা হয় বলে জানান তিনি। তবে শিক্ষার্থীদের অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়ায় আবারও নিয়মিত হবেন শিক্ষক মোহাম্মদ কামরুজ্জান। 
    

আরবি/ আরএফ

Link copied!