ঢাকার উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম ডা. খন্দকার নাঈম হাসান। পেশায় তিনি একজন ডাক্তার। কিন্তু সব সময় তার ইচ্ছে ছিল উদ্যোক্তা হওয়ার। তাই ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিয়ে ২০২১ সালের দিকে নিজের জমানো টাকা নিয়ে মিরপুর এলাকায় শুরু করেন ফুওকো নামক রেস্টুরেন্ট ব্যবসার যাত্রা, যা আস্তে আস্তে বিশাল আকার ধারণ করে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে ১১টি ব্রাঞ্চ। কিন্তু ডাক্তার হয়েও কেন রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় আসা এ প্রশ্নের জবাবে ডা. খন্দকার নাঈম হাসান দৈনিক রূপালী বাংলাদেশকে বলেন,
‘রেস্টুরেন্ট বর্তমানে একটি জনপ্রিয় ব্যবসা। যদি ব্যবসাটি সঠিকভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে করা যায় তাহলে এ ব্যবসার মাধ্যমে ভালো লাভবান হওয়া সম্ভব। রেস্টুরেন্টের ব্যবসায় সফল হওয়াটা খুব বেশি সহজ নয়। যদিও এ ব্যবসায় শুরুর সময় অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে হয় তবে কঠোর পরিশ্রম করলে খ্যাতি অর্জন করা সম্ভব। আমার রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করতে গিয়ে প্রথম বাধা আসে পরিবারের পক্ষ থেকে এরপর অর্থনৈতিকসংকট মোকাবিলা করতে হয়। প্রথম দিকে ফ্যামিলি থেকে তেমনভাবে কারও সাপোর্ট পাইনি নিজেই সবটা শুরু করেছিলাম। প্ল্যান যেহেতু ছিল না সেহেতু নিজের জমানো ১০ লাখ টাকা দিয়েই রেস্টুরেন্ট ব্যবসাটা প্রতিষ্ঠিত করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম।
গত চার বছরে অন্তত ১১টি কর্মশালার আয়োজন করেছি। এখন নিজের এবং পরিবারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি অন্যদেরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে আমার ব্যবসাটি। প্রথমে মিটবক্স দিয়ে ফুওকোর শুরু করেছিলাম। যেহেতু ওই সময় তেমনভাবে কোথাও মিটবক্স ছিল না! তার পাশাপাশি আরও অন্যান্য আইটেমও ছিল তালিকায়। তবে আমাদের সিগনেচার আইটেম মিটবক্সের প্রতি ভোজনরসিকদের আকর্ষণ বেশি। যারা বেকার ঘুরে তাদের আমি বলব, বেকার না ঘুরে কিছু না কিছু করার চেষ্টা করতে হবে। ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয় তাই লক্ষ্য নির্ধারণ করে সেই দিকে এগিয়ে যেতে হবে। থেমে থাকলে চলবে না। লাভ-লস নিয়েই ব্যবসা তবে মনোবল শক্ত রাখটাই উন্নতির লক্ষণ।
আপনার মতামত লিখুন :