ঢাকা শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪

জনপ্রিয় হচ্ছে ই-বুক

তাহমিনা বৃষ্টি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৪, ০১:৪৩ পিএম

জনপ্রিয় হচ্ছে ই-বুক

ছবি: সংগৃহীত

ইলেক্ট্রনিক বুক (ই-বুক, ইবুক, ডিজিটাল বুক বা ই-সংস্করণও বলা হয়) হলো একটি বই যার প্রকাশনা করা হয়েছে ডিজিটাল আকারে, যাতে সাধারণ বইয়ের মতোই লেখা, ছবি, চিত্রলেখা ইত্যাদি রাখা হয়েছে। এগুলো কম্পিউটার বা অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রে পড়া যায়। যদিও কখনো-কখনো বলা হয় ছাপানো বইয়ের ইলেক্ট্রনিক সংস্করণ। তবুও অনেক ই-বই আছে যাদের কোনো ছাপানো বই নেই। বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুত করা এবং বিক্রীত ই-বই সাধারণত ই-রিডারে পড়ার উপযোগী করে বানানো হয়। যদিও যে কোনো যন্ত্রেই (প্রদর্শন সক্ষম) এটি চালানো যায় যেমন- কম্পিউটার, ট্যাবলেট এবং স্মার্টফোন ইত্যাদি। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তথ্যপ্রযুক্তি কর্মকর্তা এস এম মেহেদী হাসান বলেন, আমি নিয়মিত ই-বুক পড়ি। ই-বুক ডাউনলোডের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য পাওয়া সম্ভব; সহজে স্থানান্তরযোগ্য; ব্যবহারিকভাবে ই-বুক সংরক্ষণের জন্য কোনো লাইব্রেরি বা কক্ষের প্রয়োজন নেই, কম্পিউটার বা রিডিং ডিভাইসের সহজে সংরক্ষণ করা যায়; ইন্টারনেটের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয় বলে কোনো শিপিং বা প্যাকিং খরচ নেই; মুদ্রণযোগ্য বলে চাহিদা অনুযায়ী প্রিন্ট করা সম্ভব ফলে আর্থিক সাশ্রয় হয় এবং সহজে বিতরণ এবং বিক্রয়যোগ্য। এ কারণে ই-বুক বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।  

রকমারি ডট কম সূত্রে জানা যায়, আগে আমরা দেশের বাইরের জন্য ভেবেছিলাম। এখন দেশেও বাজার সৃষ্টি হচ্ছে। কাগজের বই ছাপাতে এবং সরবরাহ করতে যে খরচ, তা ই-বুকের ক্ষেত্রে নেই। আমরা এখন বড় প্রকাশনীকেও উৎসাহিত করছি ই-বুকের জন্য। আমরা ৭/৮ বছর ধরে ই-বুকের কাজ করছি। এখন ফোকাস আরও বাড়িয়েছি। অনেক প্রকাশক ই-বুকের দাম পাওয়া নিয়ে চিন্তায় থাকেন। তাদেরকে বলেছি, ই-বুকের তুলনামূলক মূল্য ধরে দিতে। কাগজের বই বানাতে যে খরচ হয়, সে অনুপাতে দাম নির্ধারণ করা হয়। ই-বুকের দাম নির্ধারণ করলে দেশে ও দেশের বাইরে ই-বুক সরবরাহ করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি লেখক-প্রশাকরাও উপকৃত হবেন। রকমারি ডট কমের ব্র্যান্ড, স্ট্র্যাটেজি এন্ড পিআর বিভাগের সহকারি ব্যবস্থাপক কিংকর কুমার হালদার বলেন, ই-বুক মার্কেট দিন দিন বাড়ছে। আমরা ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আমাদের প্রায় ৯ হাজার ই-বুক সংগ্রহে আছে। আর বেশকিছু বই গোপন রাখা হয়েছে। সময়সাপেক্ষে সেগুলো প্রকাশ করা হবে।  

আয় করার কৌশল

বর্তমান সময়ে মানুষ সব থেকে বেশি সময় ব্যয় করে ফেসবুকে। তাই বই লিখে অনলাইনে বেশি পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে চাইলে অবশ্যই নিজেদের একটি পোর্টফলিও তৈরি করতে হবে। আপনি যদি কোনো বই লেখেন, তাহলে সেটা অবশ্যই প্রচার করতে হবে। দেখুন আপনি অনেক ভালো মানের বই লিখে রাখলেন কিন্তু অডিয়েন্স জানলোই না যে আপনি বই লিখে রেখেছেন। কারণ জানবে কীভাবে? অডিয়েন্স তো তখন কিছু জানতে পারবে যখন আপনি তাদের সামনে তুলে ধরবেন। আর যখন অডিয়েন্স আপনার বই সম্পর্কে অল্প বিস্তার কিছু ধারণা লাভ করতে পারবে, তখন আপনি আপনার বইটি কেনার আগ্রহ প্রকাশ করবে। তাই বই লিখে টাকা ইনকাম করতে চাইলে আপনাকে যা যা করতে হবে সেগুলো হলোঃ

  • নিজের বিশ্বস্ত একটি ফেসবুক একাউন্ট
  • একটি প্রফেশনাল ফেসবুক পেজ
  • ওয়েবসাইট  
  • ইউটিউব চ্যানেল

তবে এর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকরী একটি পদ্ধতি হচ্ছে ফেসবুক পেজ। দেখুন আপনার যদি একটি ফেসবুক পেজ থাকে এবং তাতে আপনার ফ্যান ফলোয়ারের সংখ্যা অনেক থাকে তাহলে আপনার বই সম্পর্কে অনেকেই জানবে। কারণ বর্তমানে ফেসবুকের ফেসবুক পেজ ফিচারটি অনেক বেশি জনপ্রিয়।
 

আরবি/ আরএফ

Link copied!