বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা কলার ছড়া বা কাঁদি যার ইংরেজি নাম থাউজেন্ড ফিঙ্গারস ব্যানানা। সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় আবার এই কলার নাম পিসাং সেরিবু; বাংলায় বলা হয় হাজারি কলা। প্রায় ৬ থেকে ১২ ফুট কিংবা এর অধিক লম্বা এই কলার গুচ্ছটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে। সাধারণত অন্যান্য কলা গাছের তুলনায় এ গাছ একটু ভিন্ন রকমের। আলাদা আলাদা অনেক কাঁদি বা ফানা থাকার বদলে এই কলা গাছে থাকে একটাই কাঁদি। গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত কলাগুলো সর্পিলভাবে ধরে, যতক্ষণ পর্যন্ত না কাঁদি মাটিতে ঠেকে যায়। কলাগুলো এক থেকে দেড়-দুই ইঞ্চি লম্বা হয়। ভেতরে থাকে না কোনো বিচি। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা এবং মালয়েশিয়ায় এই কলার চাষ বেশি দেখা যায়। তবে বর্তমানে গাজীপুরের মনপুরা পার্কেও দেখা মিলেছে এ বিস্ময়কর কলাগাছ।
এই আশ্চর্যজনক কলা নিয়ে দৈনিক রূপালী বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলেছেন মনপুরা পার্কের স্বত্বাধিকারী সানজিদুল হক সানজিদ । তিনি বলেন, এই কলা গাছটি মূলত আমরা পেয়েছিলাম উপহারস্বরূপ। অসাধারণ দৈর্ঘ্যরে কারণে ইতোমধ্যে বাংলাদেশে সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে ভাইরাল হয়ে গেছে মনপুরার পার্কের এই কলা। এই গাছের গুচ্ছের উপরের অংশের ফলগুলো বড় এবং নিচের অংশের ফলগুলো ছোট আকারের হয়। গত বছর গণনা করে প্রায় ছয় হাজারের মতো ফল পেয়েছি। এবার এখনো গণনা হয়নি, তবে আশা করি, সাত হাজারের উপরে হতে পারে। কারণ গতবারের তুলনায় এবার কাঁদির দৈর্ঘ্য অনেকটাই বেশি। এই ধরনের গাছের কলাগুলো সাধারণত অলঙ্কারিক উদ্দেশ্যে দেশের বাইরে ব্যবহৃত হয়। তবে ফলগুলো বেশ সুস্বাদু। তাই গাছটির প্রজনন ঘটাতে আমরা যথাযথ পরিচর্যার ব্যবস্থা নিয়েছি।
আপনার মতামত লিখুন :