এই মেঘ এই রৌদ্র। কখনও টানা বৃষ্টি। এ সময় ছড়িয়ে পড়ে পানিবাহিত রোগ। এই রোগের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে ডা. এহসানুল মোমেন রূপালী বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলেন। পাঠকের জন্য তা তুলে ধরা হল।
কারণ
রাস্তাঘাট পানিতে টইটুম্বুর। এ সময় সুপেয় পানির অনেক সংকট দেখা দেয়। পানিতে জীবাণু খুব সহজে মিশে যায়। তাই সহজে পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ে ডায়রিয়া জাতীয় রোগ হয়। দ্বিতীয় হল, টাইফয়েড জাতীয় রোগ হতে পারে। তিন নম্বর হল, জন্ডিস বা জন্ডিস জাতীয় রোগ হতে পারে। তারপরও কিছু রোগ, যেমন— গ্যাস্ট্রোঅ্যান্ট্রোরাইটিজ বা খাদ্যনালির প্রদাহ হয়ে এ জাতীয় রোগ হতে পারে। এছাড়া আরও কিছু কিছু পানিবাহিত রোগ রয়েছে। এছাড়া প্রচলিত ফ্লু পানিবাহিত হয়। পানিতে যে ভাইরাস তৈরি হয়; সেই পানি যদি আমরা গ্রহণ করি, এখান থেকে ফ্লু জাতীয় রোগ হতে পারে। আমরা যদি দূষিত পানি গ্রহণ করি, তাহলে এই জাতীয় সমস্যা হয়। অপরিশুদ্ধ পানি পান করার মাধ্যমে অথবা সেই পানি রান্নার কাজে ব্যবহার করার ফলে যে ধরনের ব্যাধি সংক্রামিত হয়ে থাকে তাকেই বলা হয় পানিবাহিত রোগ বা জলবাহিত রোগ। এ ধরনের অসুখ সাধারণত পানিতে বিচরণশীল রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুদের দ্বারা সংঘটিত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুসারে প্রত্যেক বছর পৃথিবীতে প্রায় দশ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ হলো পানিবাহিত রোগ।
প্রতিকার
পানি ফুটিয়ে পান করুন। পানি পরিশোধন ট্যাবলেট বা ফিল্টার ব্যবহার করুন। খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করবেন না। খাবার আগে এবং টয়লেট ব্যবহারের পর ভালোভাবে শাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। কাঁচা শাক-সবজি ভালোভাবে ধুয়ে রান্না করুন। ‘জলাশয়ের পানি ব্যবহার করবেন না।’
আপনার মতামত লিখুন :