এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পাঁচ দফা দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে শনিবার (১ মার্চ) সকাল থেকে এই কর্মসূচিতে নেমেছেন তারা। সারাদেশে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার।
কর্মবিরতির ঘোষণা শুক্রবারই এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের সংগঠন ‘ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস’। তবে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, সিসিইউ ও আইসিইউ এই কর্মসূচির আওতামুক্ত রেখেছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা।
‘মুভমেন্ট ফর জাস্টিসের’ সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুন নবী বলেন, ‘হাসপাতালের বহির্বিভাগ এবং ইনডোরের কার্যক্রমে আমরা অংশ নিচ্ছি না। তবে জরুরি বিভাগ, আইসিইউ, সিসিইউ এই কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে। বেলা ১১টায় আমরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেব।”
দশম গ্রেডে শূন্য পদে নিয়োগ, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নতুন পদ তৈরিসহ চার দফা দাবিতে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় বিক্ষোভ করেন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টস ট্রেনিং স্কুল-ম্যাটস শিক্ষার্থীরা। সরকারের আশ্বাসে তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি আপাতত স্থগিত রয়েছে। তাদের পাল্টায় সারাদেশে নানা কর্মসূচি পালন শুরু করেছেন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
মেডিকেল শিক্ষার্থীদের দাবি-
- এমবিবিএস/বিডিএস ছাড়া কেউ ‘ডাক্তার’ লিখতে পারবে না। বিএমডিসির নিবন্ধন কেবল এমবিবিএস/বিডিএস উত্তীর্ণদের দেওয়া, ম্যাটসদের নিবন্ধন দেওয়া বন্ধ করা এবং বিএমডিসির আইনের বিরুদ্ধে করা রিট মামলা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে।
- চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওটিসি (ওভার দ্য কাউন্টার) তালিকা হালনাগাদ করতে হবে। এমবিবিএস/বিডিএস ছাড়া আর কেউ ওটিসি তালিকার বাইরে ওষুধ লিখতে পারবে না।
- স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসক সংকট নিরসনে দ্রুত ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে শূন্য পদ পূরণ, চিকিৎসকদের বিসিএসে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৪ বছর করতে হবে।
- সব ধরনের মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) এবং মানহীন সরকারি ও বেসরকারি কলেজ বন্ধ করে দিতে হবে। এরইমধ্যে পাস করা ম্যাটস শিক্ষার্থীদের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদবি বাতিল করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।
- চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :