ভবিষ্যৎ মহামারি মোকাবিলায় জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো একে অন্যকে সাহায্য করার লক্ষ্যে একমত হয়েছে। এতে সদস্য রাষ্ট্রগুলো যেকোনো মহামারিতে একে অন্যকে সাহায্য করতে পারবে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। ১৩টির বেশি আনুষ্ঠানিক আলোচনার পর চুক্তির খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
২০২১ সালে সংস্থাটি ভবিষ্যৎ মহামারি মোকাবিলায় সদস্য দেশগুলো নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেয়। তবে নানা টালবাহানায় আজ ১৬ তারিখ (বুধবার) চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, দীর্ঘ ৩ বছর ধরে চলমান চুক্তি কার্যক্রম আজকে স্বাক্ষরিত হয়। যদিও চুক্তিটি চূড়ান্ত হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালের মে মাসে। তবে দেরি হলেও আজকে চুক্তি কার্যক্রম চূড়ান্ত হয়। দেশগুলো একে অপরের সাথে প্রযুক্তি ও জ্ঞান ভাগাভাগি করা, একটি বহুখাতীয় বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি কর্মীবাহিনী তৈরি এবং একটি ‘প্যাথোজেন অ্যাকসেস অ্যান্ড বেনিফিট শেয়ারিং সিস্টেম’ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি রয়েছে চুক্তিটিতে।
২০১৯ সালের করোনা মহামারির সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি।
সচেতনতামূলক বার্তা প্রদান করে বিশ্ববাসীকে সচেতন করলেও, তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারেনি সংস্থাটি। ফলে ঝরে যায় অগণিত প্রাণ।
চুক্তিতে অংশ নেয়া ৬ দূতের একজন, প্রেশিয়াস মাতসোসো জানান, করোনা মহামারির সময় মানুষের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই চুক্তির ফলে আগত যেকোনো মহামারি সদস্য দেশগুলো একসাথে মোকাবিলা করতে পারবে।