ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সজনে পাতার উপকারিতা

জনপ্রিয় এক সবজি সাজন। যা বিভিন্নভাবে রান্না করা হয়। সজনের পাশাপাশি সজনে পাতারও উপকারিতা রয়েছে অনেক। গবেষকরা এই পাতাকে সুপার ফুড বলে থাকেন। গভেষকরা যার বৈজ্ঞানিক নাম দিয়েছেন ‘মরিঙ্গা ওলিফেরা’। সজনের মূল, ছাল, ফুল, ফল, বীজ,পাতা সবকিছুতেই মহাঔষধি গুণ বিদ্যমান। আর ফুলে আছে জীবানুনাশক টিরিগোজপারমিন। 

এর মধ্যে আছে ভিটামিন এ, বি, সি, প্রোটিন ও চর্বি জাতীয় পদার্থ, কার্বোহাইড্রেট ইত্যাদি। বিশেষ করে সজনে পাতা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এটি ম্যালেরিয়া জ্বর, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য অনেক রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে। নিয়মিত সজনে পাতা খেলে আরো কিছু উপকার পাওয়া যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সজনে পাতায় ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও গুরুত্বপূর্ণ অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে। এসব উপাদানে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।

নিয়মিত সজনে পাতা খেলে আরও যেসব উপকার পাওয়া যায় তা হল..

১। সজনে পাতার এন্টি-অক্সিডেন্ট ও আইসোথিয়োকাইনেটস নামের উপাদানগুলো রক্তে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। প্রতিদিন মাত্র ৫০ গ্রাম সজনে পাতা খেলে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

২। সজনে পাতা রক্ত স্বল্পতা দূর করে। শাকের তুলনায় পঁচিশ গুন বেশি আয়রন রয়েছে এই সজনে পাতায়। কলা থেকে তিন গুন বেশি পটাশিয়াম রয়েছে। শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে সজনে পাতা দারুণ উপযোগী। তবে ভালো উপকার পেতে বেশ কিছুদিন নিয়মিত সজনে পাতা, ডাঁটা ও ফুল খাওয়া দরকার।

৩। সজনে পাতায় কোলেস্টেরল কমানোর বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। সজনে পাতার একটি চমৎকার গুণ হচ্ছে, এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, যা ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।

৪। সজনে পাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ত্বকের যত্নের জন্য আদর্শ।

৫। ঘুম এবং পুষ্টি উভয়ই একে অপরকে প্রভাবিত করে। এটি নিয়ন্ত্রণ করতে সজনে পাতার মতো শক্তিশালী খাবার প্রয়োজন। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় সজনে পাতার মতো শক্তিশালী খাবার অপরিহার্য, কারণ এই পাতা শক্তি বাড়ায়, শরীরকে ভিটামিন দিয়ে ফ্লাশ করে এবং প্রদাহ কমায়।