‘ওয়ান ইস্টু ওয়ান’ শর্তে জরুরি সেবা চলবে

ঢাকা: চিকিৎসা সেবা স্বাভাবিকভাবে চালিয়ে যেতে ‌‍‍`কমপ্লিট শাটডাউন’ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুর জাহান বেগম। ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রসাসনিক ভবনের সামনে নুর জাহান গণমাধ্যমকে জানান চিকিৎসকদের ওপর হামলার জেরে ‌‍‍`কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন চিকিৎসকরা। আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। আমি মিডিয়াকে জানাচ্ছি চিকিৎসরা তাদের ‌‍‍`কমপ্লিট শাটডাউ‘ কর্মসূচি সরে এসেছে এবং তাদের ’জরুরি চিকিৎসা সেবা’ চালু রাখবেন।

এদিকে, আন্দোলনরত চিকিৎসকরা বলছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষ না করেই ‌‍‍`কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিতের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফলে শাটডাউন স্থগিত নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধায় নিউরো সার্জারি বিভাগের আবাসিক সার্জন আব্দুল আহাদ জানান ওয়ান ইস্টু ওয়ান শর্তে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি নিদিষ্টি সময়ের জন্য আমরা স্থগিদ রাখা হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার জন্য একজন চিকিৎসকের বিপরীতে একজন পুলিশ, সেনা সদস্য বা বিজিবি নিয়োগ করতে হবে। যেই মুহূর্তে এটা নিশ্চিত করা হবে সেই মুহূর্তে আমরা জরুরি সেবা চালু করব। যেসব হাসপাতালে এই শর্তপূরণ করা হবে শুধুমাত্র সেসব হাসপাতালে ‘জরুরি সেবা’ দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। গতরাতে যে হামলা হয়েছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের আটক করতে হবে। আলোচনায় আমাদের দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কর্মস্থলে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা হলে পুনরায় কমপ্লিট শাটডাউনের কথা জানিয়েছেন তারা । এছাড়া আগামী সাতদিনের মধ্যে স্বাস্থ্য পুলিশ, স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন করার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।

উল্লেখ্য, এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেন, চিকিৎসকরা জরুরি চিকিৎসাসেবা চালু করবেন। তাদের নিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। চিকিৎসক মারধরের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আটক বা গ্রেপ্তার করার পরপরই তারা সম্পূর্ণভাবে চিকিৎসাসেবা দেবেন। আপাতত এখন থেকে জরুরি চিকিৎসাসেবা শুরু হচ্ছে।

কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন কি না এমন প্রশ্নে উত্তরে তিনি বলেন, কমপ্লিট শাটডাউন আর নেই। এটা থেকে চিকিৎসকরা সরে এসেছেন। তারা এখনই জরুরি সেবা চালু করছেন। যে নিশ্চয়তা তারা চেয়েছিল সেই নিশ্চয়তা স্বাস্থ্য উপদেষ্টা তাদের দিয়েছেন। সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ এবং সিভিলে আনসার সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। চার বাহিনী মিলিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। ওয়ার্ডে, আইসিইউতে যেসব রোগী ভর্তি আছে তাদের চিকিৎসা অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া ক্যাজুয়ালিটি, নিউরো সার্জারি এবং জরুরি বিভাগ চালু হচ্ছে।