সাধারণত ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে শীত জেঁকে বসে তা বলাই যায়। এমন পরিস্থিতিতে ঠান্ডা থেকে বাঁচার উপায় খোঁজেন। ঠান্ডা কমাতে বাজারে অনেক ডিভাইসও পাওয়া যায়। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই রুম হিটার ব্যবহার করেন। কিন্তু আপনি কি জানেন? এটি এমন একটি ডিভাইস যেখানে একটু অসাবধান হলেই সরাসরি তা মৃত্যুর দিকেও নিয়ে যেতে পারে।
ঠান্ডা আবহাওয়া বা শীতে রুমে হিটার চালানোর ক্ষেত্রে কিছু অসাবধানতা শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ হতে পারে। কারণ, রুম হিটার সরাসরি অক্সিজেন কমায় এবং বিষাক্ত গ্যাস তৈরি করে। এর ফলে অনেক মারাত্মক রোগও হতে পারে। তাই রুম হিটার ব্যবহারের আগে এই সব টিপস মাথায় রাখুন।
অক্সিজেন কমে যাওয়া
বদ্ধ রুমে হিটার ব্যবহার করলে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায় এবং বিপজ্জনক বিষাক্ত মনোক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন হয়। এই গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে রক্তে মিশে যায়, যা সরাসরি রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। যা মৃত্যুরও কারণ হতে পারে।
চোখের রোগ
রুম হিটারের গরম বাতাসে চোখের আর্দ্রতা কমে যায়। এর কারণে চোখ জ্বালা, চোখে শুষ্কতা, সংক্রমণ এবং চুলকানির মতো গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
চর্মরোগ
রুম হিটার চালানোর ফলে ত্বকে লালভাব এবং শুষ্কতা এবং শরীরে চুলকানি এবং চুলকানির মতো আরও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শ্বাসকষ্ট
রুম হিটারের কারণে বাতাসে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। হাঁপানি রয়েছে এমন রোগীদের সমস্যাও অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে।
রুম হিটার চালানোর সময় এই সতর্কতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ
আপনার ঘরে যদি রুম হিটার চলে তবে দরজা বা জানালা কিছুটা খোলা রাখুন কারণ রুম হিটার চালানোর ফলে অক্সিজেনের পরিবর্তে বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হয়। দরজা বা জানলা যদি একটু খোলা থাকে তবে তা বেরিয়ে যেতে পারে।
রাতে ঘুমানোর সময় রুম হিটারের কাছে কম্বল রেখে দেওয়া খুব বিপজ্জনক হতে পারে। রুম হিটার চালানোর সময়, মনে রাখবেন যে কম্বল থেকে এর দূরত্ব কমপক্ষে ১ মিটার হওয়া উচিত। একটানা বেশিক্ষণ রুম হিটার চালাবেন না। এটি ক্রমাগত চালু এবং বন্ধ করা উচিত।
আপনার মতামত লিখুন :