নরম রোদ আর শিশুর ভেজা ঘাসের দেখা পাওয়া যায় একমাত্র শীতকালেই। ভ্রমণের আদর্শ সময় শীতকাল। তখন প্রকৃতি নতুন রূপে ধরা দেয়। এরকম শীতের সকালে ভ্রমণ যেমন অন্যরকম আনন্দ দেয় তেমনি অভিজ্ঞতা দিয়েও সমৃদ্ধ করে।
এদিকে, শীতকালে বাংলাদেশ তার চিরাচরিত নয়নাভিরাম সৌন্দর্য ফিরে পায়। সেই সৌন্দর্যের মোহে আবিষ্ট হয়ে দীর্ঘ শিশির ভেজাপথ হেঁটে গেলেও ভর করবে না কোনো ক্লান্তি। আর তাইতো অনেকেই শীতের সকালে বেরিয়ে পড়ে ভ্রমণে।
ভ্রমণের জন্য বেছে নিতে পারেন শীতের ভোরের সময়টি। এ সময় ভ্রমণ শুধু রোমাঞ্চকরই হবে না, রয়েছে এর বেশ কিছু অজানা উপকারিতাও।
শরীর ও মনের সতেজতা
শীতের ঠান্ডা হাওয়া এবং ভোরের নির্মল পরিবেশ শরীরকে চাঙ্গা করে তোলে। সকালে ভ্রমণের সময় শীতল বাতাস ও সূর্যের প্রথম আলো মস্তিষ্কে ডোপামিন নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়, যা মনকে সতেজ রাখে।
পরিবেশের নির্মলতা উপভোগ
ভোরের পরিবেশ থাকে ধুলাবালি ও শব্দদূষণমুক্ত। গাছপালা থেকে মুক্ত অক্সিজেন গ্রহণ করা যায়, যা ফুসফুসের জন্য খুব উপকারী।
রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে
শীতের সকালের ঠান্ডা আবহাওয়ায় হাঁটা বা হালকা ভ্রমণ করলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। এতে হার্ট সুস্থ থাকে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ভিটামিন ডি গ্রহণের সুযোগ
ভোরের সূর্যের আলো ভিটামিন ডি-এর অন্যতম প্রাকৃতিক উৎস। শীতের দিনে ভোরে ভ্রমণ করে সহজেই শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
ওজন কমাতে সহায়ক
শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ায় শরীরের ক্যালোরি বেশি খরচ হয়। সকালের হাঁটা বা হালকা দৌড়ানোর মাধ্যমে ওজন কমানো সহজ হয়।
সৃজনশীলতা বাড়ায়
ভোরের নিস্তব্ধ পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মানসিক চাপ কমায় এবং চিন্তা-ভাবনায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এতে সৃজনশীলতা বাড়ে।
ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে
শীতের ভোরের ঠান্ডা আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তোলে। এতে সর্দি-কাশি বা ঠান্ডাজনিত অসুখ থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়।
প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ
ভোরের কুয়াশা, শিশির ভেজা ঘাস, আর পাখির কলরব মনকে প্রফুল্ল করে তোলে। প্রকৃতির এই সৌন্দর্য মনোবল বাড়াতে সাহায্য করে।
আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার শক্তি
অনেকেই আছেন অল্প ঠান্ডা বা কুয়াশা পড়লেই সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হয়। যদি আপনি শীতের ভোরে ভ্রমণে বের হন তাতে আপনার কুয়াশা ও শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার শক্তি তৈরি হবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
আপনার মতামত লিখুন :