বিজ্ঞাপন ও প্রযুক্তি বিভাগে ‘একুশে পদক-২০২৫’ পেতে যাচ্ছেন ‘অভ্র’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা মেহেদী হাসান খান। সম্প্রতি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী একুশে পদক ২০২৫ ঘোষণা করেন। পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগে ‘ভাষা হোক উন্মুক্ত’ স্লোগানে তৈরি বাংলা টাইপিং সফটওয়্যার ‘অভ্র’র অন্যতম সহ-প্রতিষ্ঠাতা মেহেদী হাসানের নাম ঘোষণা করে জানানো হয়।
২০০৩ সালের ২৬ মার্চ প্রথমবারের মতো মুক্তি পায় ‘অভ্র’। সেসময় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ছাত্র ছিলেন মেহেদী। শুরুর দিকে, ইউনিকোডভিত্তিক বাংলা লেখার জন্য উপযুক্ত সফটওয়্যার না থাকায় তিনি নিজেই একটি সমাধান তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে মাইক্রোসফট ডট নেট ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করে একটি প্রোটোটাইপ তৈরি করেন।
কিন্তু সেটি বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। অবশেষে, ক্ল্যাসিক ভিজ্যুয়াল বেসিকের ওপর ভিত্তি করে নতুন একটি সংস্করণ তৈরি করেন, যা বাংলা লেখার জন্য আদর্শ হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে ২০০৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ওমিক্রনল্যাব থেকে এটি মুক্তি দেওয়া হয়। অভ্রের অর্থ আকাশ।
অভ্র বাংলা টাইপিং এর শুধু বিনামূল্যের সফটওয়্যার না বরং এর সোর্স কোডও উন্মুক্ত। অর্থাৎ যে কেউ অভ্রর সোর্স কোড ব্যবহার করতে পারে। অভ্র কী-বোর্ডের জন্য ২০১১ সালে মেহেদী হাসান খান তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশেষ অবদানের জন্য বেসিস পুরস্কার পান। ২০২০ সাল থেকে জার্মানিতে অবস্থান করছেন মেহেদী হাসান।
তার আগ পর্যন্ত দেশে হাংরিনাকি, শপ আপ এর মতো উল্লেখযোগ্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন তিনি। অভিযোগ আছে, ‘অভ্র’কে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে মেহেদী হাসানকে দেশ ছাড়তে একরকম বাধ্য করেন ‘বিজয়’ কী-বোর্ডের স্বত্বাধিকারী ও সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
আপনার মতামত লিখুন :