বর্তমানে স্মার্টফোন ছাড়া জীবনটাই যেন অচল! ফোন ছাড়া এক মুহূর্ত থাকতে পারবেন? উত্তরটা না-ই হবে বেশির ভাগের ক্ষেত্রেই। মুঠোফোন মুঠোবন্দি করেই বাঁচছে অধিকাংশ মানুষ।
ফোন হারিয়ে গেলে বা বিকল হয়ে গেলে এমন বুকফাটা আর্তনাদ করেন প্রায় সবাই যে, মনে হবে জীবনটাই বুঝি শেষ হয়ে গেল। ডিজিটাল দুনিয়াটাই স্মার্টফোন নির্ভর হয়ে পড়েছে।
এখন ঘুম থেকে উঠেই সবাই আগে মোবাইল খুঁজে। ঘুমানোর আগেও কমবেশি সকলের নজর থাকে মোবাইল স্ক্রিনেই।
অনেক সময়ই দেখা যায়, মোবাইলে ঠিক মতো চার্জ হচ্ছে না। ফুল চার্জ দিলেও কিছুক্ষণেই তা ৩০-৪০ শতাংশে নেমে আসে। তবে এবার জেনে নেওয়া যাক যেসব কারণে ফোনে চার্জ দেরিতে হয় -
চার্জার বা ক্যাবলের মান খারাপ: নিম্নমানের চার্জার বা ক্যাবল ব্যবহার করলে চার্জের গতি কমে যেতে পারে। ফোনের সাথে আসল চার্জার বা ভালো মানের ফাস্ট চার্জার ব্যবহার করা উচিত।
নিম্ন ক্ষমতার অ্যাডাপ্টার: অনেক সময় ফোনের প্রয়োজনীয় পাওয়ার আউটপুট দিতে পারে না এমন চার্জার ব্যবহার করা হলে ফোনের চার্জ হতে অনেক সময় লাগে।
ইউএসবি পোর্টের সমস্যা: চার্জারের ইউএসবি পোর্ট বা ক্যাবলের সংযোগস্থলে কোনো সমস্যা থাকলে চার্জ ধীর হতে পারে। এমনকি কম্পিউটার বা ল্যাপটপের ইউএসবি পোর্টে চার্জ দিলে গতি কম হয়।
ব্যাকগ্রাউন্ডে বেশি অ্যাপ চালু থাকা: যদি ফোনে একাধিক অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকে, তবে তা অতিরিক্ত পাওয়ার ব্যবহার করে। ফলে চার্জ ধীরগতিতে হতে পারে।
ব্যাটারি সমস্যা: ফোনের ব্যাটারির বয়স বা কার্যকারিতা কমে গেলে চার্জ নেওয়ার গতি কমে যেতে পারে। অনেক সময় ব্যাটারি পরিবর্তন করা প্রয়োজন হতে পারে।
চার্জিং পোর্টে ময়লা জমে থাকা: ফোনের চার্জিং পোর্টে যদি ময়লা বা ধুলো জমে থাকে, তবে চার্জ ঠিকমতো হতে পারে না।
উচ্চ তাপমাত্রা: ফোন অতিরিক্ত গরম হলে ফোনের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার জন্য এটি চার্জ নেওয়া ধীর করে দেয়। এতে চার্জের গতি কমে যায়। ফোন গরম হওয়ার কারণ হতে পারে ব্যাকগ্রাউন্ডে বেশি অ্যাপ চালানো, গেমিং, বা সরাসরি সূর্যের আলোতে ফোন রাখা।
এই সব কারণ ছাড়াও, বিশেষ কিছু পরিস্থিতিতে ফোনের চার্জ ধীরগতি হতে পারে, তাই সমস্যার উৎস নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
আপনার মতামত লিখুন :