বর্তমান যুগকে বলা হয় ডিজিটাল যুগ। এ যুগে বিভিন্ন কাজে ওয়েবসাইট কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার নিত্যদিনের সঙ্গী। ডিভাইস ও অ্যাকাউন্টে থাকা ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ রাখতে ব্যবহার করা হয় পাসওয়ার্ড।
প্রযুক্তিবিদরা বলেন, পাসওয়ার্ড কঠিন রাখাই ভালো তবে অনেকেই ভুলে যাওয়ার ভয়ে সহজ পথ বেঁছে নেন। আর এতেই বিপদের ঝুঁকি বাড়ে। কারণ সহজ পাসওয়ার্ড দিলে সেটা অনুমান করে অ্যাকাউন্ট হ্যাক হতে পারে।
ইন্ডিয়ান এক্সপেসের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, সম্প্রতি পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ‘নর্ডপাস’ বলছে, টানা দুই বছর বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ও জনপ্রিয় পাসওয়ার্ড হলো ‘১২৩৪৫৬’। এই প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে প্রচলিত পাসওয়ার্ডের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে।
নর্ডপাস জানিয়েছে, পাসওয়ার্ড নির্বাচনের ক্ষেত্রে মানুষের সৃজনশীলতার অভাব রয়েছে। আবার অনেক সময় দেখা যায় তারা বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব কম দেন। প্রতিষ্ঠানটি এ পর্যন্ত ছয়বার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পাসওয়ার্ডের তালিকা তৈরি করেছে। বেশির ভাগ সময় সহজ পাসওয়ার্ড যেমন ‘১২৩৪৫৬’ (123456), কিউডব্লিউইআরটিওয়াই (qwerty) বা এবিসি (ABC) শীর্ষে ছিল। অন্যদিকে, ২০২২ সালে পাসওয়ার্ড হিসেবে পাসওয়ার্ড (password) শব্দটি সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল।
নর্ডের মতে, কিছু ব্যক্তি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরির চেষ্টা করে ‘P@ssw0rd’ শব্দটি ব্যবহার করেন, কিন্তু সেটিও হ্যাকার এক সেকেন্ডেরও কম সময় অনুমান করতে পারে। কোম্পানিটি তাদের তালিকা তৈরিতে উন্মুক্ত উৎস থেকে ২ দশমিক ৫ টেরাবাইট ডাটা ব্যবহার করেছে, যার মধ্যে কিছু মিলেছে ডার্কওয়েব থেকে।
নর্ডের বিশ্লেষকরা বলছে, সহজ পাসওয়ার্ডের বেশির ভাগই হ্যাকাররা মিলিসেকেন্ডের মধ্যে অনুমান করতে পারে। যদি আপনার পাসওয়ার্ড এ তালিকায় থাকে, তবে একটু সৃজনশীল কিছু ব্যবহার করে সেটি পরিবর্তন করে নেয়াই ভালো। তাদের দেয়া ১০টি প্রচলিত পাসওয়ার্ড হলো ১২৩৪৫৬ (123456), ১২৩৪৫৬৭৮৯ (123456789), ১২৩৪৫৬৭৮ (12345678), পাসওয়ার্ড (password), কিউডব্লিউইআরটিওয়াই১২৩ (qwerty123), কিউডব্লিউইআরটিওয়াই১ (qwerty1), ১১১১১১ (111111), ১২৩৪৫ (12345), সিক্রেট (secret), ১২৩১২৩ (123123)। প্রযুক্তিবিদরা ডিজিটাল দুনিয়ায় নিজেকে নিরাপদ রাখতে এসব পাসওয়ার্ড ব্যবহার এড়িয়ে যেতে বলেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :