সময়ের সঙ্গে যেকোনো স্মার্টফোনের কার্যক্ষমতা কমতে শুরু করে। দামি বা উন্নত যেকোনো ফোনই একটানা ব্যবহারের ফলে কয়েক বছর পর বাহ্যিক সৌন্দর্য নষ্ট হতে থাকে, পাশাপাশি ব্যাটারি লাইফ কমাসহ অন্য অভ্যন্তরীণ কাজের গতিও ধীর হয়ে যায়।
সময়ের সঙ্গে যেকোনো স্মার্টফোনের কার্যক্ষমতা কমতে শুরু করে। দামি বা উন্নত যেকোনো ফোনই একটানা ব্যবহারের ফলে কয়েক বছর পর বাহ্যিক সৌন্দর্য নষ্ট হতে থাকে, পাশাপাশি ব্যাটারি লাইফ কমাসহ অন্য অভ্যন্তরীণ কাজের গতিও ধীর হয়ে যায়।
বছর বছর নতুন ডিভাইস কেনা অনেকের জন্যই সহজ নয়। তাই দীর্ঘদিনের ব্যবহারে ফোনটিকে ভালো ও কার্যক্ষম রাখতে কী করতে হবে, তা নিয়ে পরামর্শ দিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট মেকইউজঅব—
সপ্তাহে একবার ফোন রিস্টার্ট দেওয়া
নিয়মিত স্মার্টফোন রিস্টার্ট দেওয়ার বেশকিছু উপকারিতা রয়েছে। সময়ের সঙ্গে ফোনে ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ জমা হয়, যা ডিভাইসের গতি কমিয়ে দিতে পারে। ফলে ফোন ধীরগতি, মাঝে মাঝে হ্যাং হওয়া বা গ্লিচের মতো সমস্যার সম্মুখীন হয়।
রিস্টার্ট দিলে অস্থায়ী ফাইল মুছে যায়, অব্যবহৃত অ্যাপ বন্ধ হয় ও সিস্টেম রিফ্রেশ হয়। এতে ফোনের কর্মক্ষমতা বাড়ে, ল্যাগ কমে। এ ছাড়া ফোন অতিরিক্ত গরম হওয়া কিংবা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো সাধারণ সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়। ফোন ভালো রাখতে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার রিস্টার্ট দেওয়ার পরামর্শ দেন প্রযুক্তিবিদরা।
ব্যাটারির যত্ন
স্মার্টফোনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ব্যাটারি। এ হার্ডওয়্যার ছাড়া একটি ফোন একদম অচল। তাই ফোন ভালো রাখতে ব্যাটারির যত্ন নেওয়ায় অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।
ব্যাটারি একবারে শূন্য করে চার্জ না দেওয়া, সরাসরি সূর্যের নিচে বা গরম পরিবেশে প্রয়োজন ছাড়া সেলফোন ব্যবহার না করা, ফোনের ডিসপ্লে উজ্জ্বলতা বা ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখা, প্রয়োজন ছাড়া ইন্টারনেট সংযোগ চালু না করা ও ৮০-৯০ শতাংশ চার্জ হলেই চার্জার খুলে ফেলা এসব অভ্যাস স্মার্টফোনের ব্যাটারি লাইফ বাড়াতে সহায়ক, যা সামগ্রিকভাবে একটি ডিভাইসের পারফরম্যান্সের ওপর প্রভাব ফেলে।
ফোন ও কেস নিয়মিত পরিষ্কার রাখা
সময়ের সঙ্গে ফোনের বিভিন্ন অংশে ধুলা, ময়লা জমে যায়। ফলে কিছু ফিচার যেমন মাইক্রোফোন, স্পিকার, ক্যামেরা, চার্জের পয়েন্ট ঠিকমতো কাজ না করার পাশাপাশি ডিভাইসের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
তাই ফোনের ডিসপ্লে, ক্যামেরা লেন্স, চারপাশের প্রান্ত, চার্জিং পোর্ট, স্পিকার গ্রিল ও হেডফোন জ্যাক (যদি থাকে) নিয়মিত পরিষ্কার করার অভ্যাস করতে হবে। ফোন কেসের ভেতরও ময়লা জমে থাকতে পারে, সেগুলো পরিষ্কার করতে হবে।
প্রতি মাসে জাঙ্ক ফাইল ও অ্যাপ ডিলিট করা
ফোনে পুরোনো ফাইল ও অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ডিলিট না করলে স্টোরেজ পূর্ণ হয়ে যেতে পারে। এতে নতুন অ্যাপ ডাউনলোড বা পুরোনো অ্যাপ আপডেট করার সুযোগ থাকে না। যদি ফোনের ইন্টারনাল মেমোরি প্রায় পুরোপুরি ভরে যায়, তাহলে অপারেটিং সিস্টেম ঠিকমতো কাজ করার জায়গা পায় না, যা ফোনের কর্মক্ষমতা ধীর করে দিতে পারে।
ফোনের স্টোরেজ ফ্রি করতে গ্যালারি, অ্যাপ ড্রয়ার ও ডাউনলোডস ফোল্ডার থেকে অপ্রয়োজনীয় ফাইল এবং অ্যাপগুলো চিহ্নিত করে ডিলিট করতে হবে। বড় ফাইল মুছে ফেললে দ্রুত জায়গা খালি হবে। যেমন- বড় সাইজের মোবাইল গেম, ফোরকে ভিডিও, ডুপ্লিকেট ছবি ও বড় অডিও ফাইল।
ফোনের অপারেটিং সিস্টেম আপডেট রাখা
ফোনে সফটওয়্যার আপডেট করা রয়েছে কিনা, সেটিংসে গিয়ে তা দেখা যায়। অনেক ব্যবহারকারী ডেটা হারানোর ভয় বা নতুন বাগের সমস্যার আশঙ্কায় আপডেট এড়িয়ে চলেন।
তবে অপারেটিং সিস্টেম আপডেট না করার ঝুঁকি আরও বেশি। ফোনের পারফরম্যান্স ভালো করার জন্য নিয়মিত আপডেটে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আসে, যেমন রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট উন্নত হয় ও ফোনের গতি দ্রুত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :