মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হওয়ার বদলে কার্যক্রম টিকিয়ে রাখার এক সুযোগ পেয়েছে চীনভিত্তিক ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, মার্কিন অংশীদারিত্ব থাকলে যুক্তরাষ্ট্রে কার্যক্রম চালাতে পারবে টিকটক।
এরপর থেকেই টিকটক কে কিনবে সে বিষয়ে কানাঘুষা শুরু হয়। গুঞ্জন ওঠে যে, আরেক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’ (সাবেক) এর প্রধান নির্বাহী ধনকুবের ইলন মাস্ক কিনে নিতে পারেন টিকটক। এমনকি ট্রাম্প নিজেও মাস্ক বা অরাকল চেয়ারম্যান ল্যারি এলিসনের কাছে টিকটক বিক্রির পক্ষে মত দেন। তিনি একটি সার্বভৌম সম্পদ তহবিল গঠনের নির্বাহী আদেশেও স্বাক্ষর করেছেন, যা অ্যাপটির কিছু অংশ কিনতে পারে। তবে সম্প্রতি ইলন মাস্ক জানান, টিকটক কিনতে আগ্রহী নন তিনি।
জার্মানির ওয়েল্ট ইকোনমিক সামিটে এক সাক্ষাৎকারে মাস্ক বলেন, ‘আমি টিকটকের জন্য কোনো বিড (দর প্রস্তাব) করিনি। মাস্ক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, টিকটক কেনার কোনো পরিকল্পনা তার নেই। তিনি বলেন, ‘যদি আমার কাছে টিকটক থাকত, তাহলে এর অ্যালগরিদম বিশ্লেষণ করতাম। দেখতাম এটি কতটা সহায়ক বা কার্যকর। তারপর চিন্তা করতাম, এটি কীভাবে মানবজাতির জন্য আরও উপকারী ও উৎপাদনশীল করা যায়।’
তবে মাস্ক স্বীকার করেন যে, তিনি নিজে টিকটক ব্যবহার করেন না এবং অ্যাপটি সম্পর্কে খুব বেশি জানেনও না। তিনি একে ‘একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি সাধারণত নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলি, বিদ্যমান কোম্পানি কিনি না। টুইটার কেনা (বর্তমানে এক্স) আমার ক্যারিয়ারের একটি ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত ছিল।’
সাক্ষাৎকারের শুরুতে তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডজ) পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন। মাস্ক ও তার মিত্ররা ইতোমধ্যে বেশকিছু ফেডারেল সংস্থার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন এবং বিশাল পরিমাণ সংবেদনশীল তথ্যের প্রবেশাধিকার পেয়েছেন।
সরকারি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো- আমলাতন্ত্রকে পরাস্ত করা। আমি মনে করি, আমলাতন্ত্র প্রায় চূড়ান্ত ‘বস ব্যাটেল’ (খুব ক্ষমতাধর কারও বিরুদ্ধে লড়াই) সমতুল্য। অন্যতম কঠিনতম কাজ হলো- আমলাতন্ত্রকে পরাজিত করা। এটি এতটাই কঠিন যে সরকারকে উন্নত করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।’
আপনার মতামত লিখুন :