ইউটিউব চ্যানেল খুলে এখন অনেকেই অর্থ আয় করেন। এমনকি অনেক নির্মাতা রীতিমতো তারকাও বনে গেছেন। সম্প্রতি নিজেদের তৈরি ভিডিও জনপ্রিয় করতে কেউ কেউ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে সিনেমার ভুয়া ট্রেলার তৈরির পর প্রচার করছেন। এর ফলে সিনেমার দর্শকেরা বিভ্রান্ত হওয়ায় সিনেমার ভুয়া ট্রেলার প্রচার করা চ্যানেলের আয়ের পথ বন্ধ করে দিয়েছে ইউটিউব।
ইউটিউবের তথ্যমতে, সিনেমার ভুয়া ট্রেলারগুলো বিভ্রান্তিকর। এসব ভিডিওতে কখনো হ্যারি পটার বা মার্ভেল সিনেমার চমকপ্রদ সিকুয়েল আসার দাবি করা হয়। ইউটিউবের নীতিমালায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, দর্শকদের বিভ্রান্ত বা প্রতারণামূলক তথ্য ছড়ায়, এমন কনটেন্ট অনুমোদনযোগ্য নয়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিনোদনবিষয়ক ওয়েবসাইট ডেডলাইন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইউটিউবের নতুন এই পদক্ষেপের ফলে স্ক্রিন কালচার ও কেএইচ স্টুডিও নামের দুটি জনপ্রিয় চ্যানেল আয়ের সুযোগ হারিয়েছে। এই চ্যানেল দুটির সম্মিলিত সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ২০ লাখের বেশি। এরই মধ্যে ইউটিউব চ্যানেল দুটিকে পার্টনার প্রোগ্রাম থেকে বাদ দিয়েছে। ফলে তারা আর বিজ্ঞাপন থেকে আয় করতে পারবে না। যদিও তাদের আপিল করার সুযোগ রয়েছে।
এক বিবৃতিতে কেএইচ স্টুডিওর প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘তিন বছর ধরে আমি কেএইচ স্টুডিও চালিয়ে আসছি। এতে আমার সবটুকু শ্রম ও সময় বিনিয়োগ করেছি। আমার উদ্দেশ্য ছিল সৃজনশীল ভাবনাগুলো উপস্থাপন করা, দর্শকদের ভুল ধারণা দেওয়া নয়। তাই ইউটিউবের এই সিদ্ধান্ত হতাশাজনক।’
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া