ঢাকা মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫

স্টারলিংক বাংলাদেশে আনার নেপথ্যের নায়ক কে?

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০২৫, ০৯:২৬ পিএম
ছবিতে বাংলাদেশে স্টারলিংক আনার কারিগর ড. ইমাদুর রহমান

ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ একের পর এক সুখবর পেয়েই যাচ্ছে। লোকমুখে জারি হয়েছে এ যেন এক জাদুর ছোঁয়া। এরই ধারাবাহিকতায় এবার বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করল স্টারলিংক।  

শীর্ষ মার্কিন ব্যবাসায়ী ইলন মাস্কের স্টারলিংক বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে। তবে যার হাত ধরে স্টারলিংক বাংলাদেশে এসেছে, প্রশ্ন উঠেছে ড. ইউনূসের সম্ভাবনার এই যাত্রায় তার সহযোদ্ধা কে? কেই বা বাংলাদেশে স্টারলিংক আনার নেপথ্যের নায়ক?  

স্টারলিংক বাংলাদেশের আনার নেপথ্রে কাজ করছে ড. ইমাদুর রহমান। যিনি ড. ইউনূসের নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্নে সহযাত্রী হিসেবে দেশে ফিরেছেন।

জানা যায়, ড. ইমাদুর রহমান পেশাগত ক্যারিয়ার চমৎকার। তার সিভি প্রায় ৩০-৪০ পৃষ্ঠার। তিনি এরিকসনের মতো বড় কোম্পানি ছেড়ে এসে ইন্টেরিম সরকারের বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন লিমিটেড (BSCL) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগ দিয়েছেন।

গতকাল থেকে বিডার চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীকে দেখে সবাই যেমন নতুন বাংলাদেশের জন্য আশাবাদী হচ্ছেন, তেমনি অনেকের মধ্যে আরেকজন নিভৃতচারী মানুষ ড. ইমাদুর রহমান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি জনপ্রিয় ব্যক্তিদের মধ্যে কেই নয়। তবে তিনি এদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একজন মানুষ। যেমন...

১. তিনি এরিকসনের হেড অফ রিসার্চ ছিলেন এবং ৬০০+ প্যাটেন্ট সাবমিট করেছেন। উনার ৩০০+ ইউএস প্যাটেন্ট গ্রান্টেড হয়েছে, যা প্রযুক্তি ইনোভেশনের চূড়ান্ত উদাহরণ। উনার গবেষণার বিশেষজ্ঞ ক্ষেত্র হলো ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন এবং ১৭ বছরের গবেষণার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বর্তমানে উনার প্যাটেন্ট সংখ্যা সম্ভবত হাজারের কাছাকাছি!

২. উনার গবেষণা বিষয়ক আর্টিকেল ও জার্নালের সংখ্যা প্রচুর এবং গুগল সাইটেশন ২০০০+!

৩. শুধু প্রযুক্তি নয়, তিনি সামাজিক কাজেও অসামান্য। তিনি মুসলিম এইড সুইডেন চ্যাপ্টারের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে রমজানে দাতব্য ওয়েলফেয়ার কাজ পরিচালনা করেছে।

৪. সুইডেনের স্টকহোমে উনার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে জনকল্যাণমূলক ও ইসলামিক কাজের জন্য। তিনি স্টকহোমের একটি মসজিদের প্রেসিডেন্ট এবং খতিব। বাংলাদেশে ইয়াসির ক্বাদী যখন এসেছিলেন, তখন তিনি অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।