এখন থেকে গ্রাহক পর্যায়ে ৫শ টাকার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট প্যাকেজে ন্যূনতম ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা হবে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এ সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেয়।
তবে সরকারের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, সরকার চায় খুব দ্রুতই ন্যূনতম গতির মান ২০ এমবিপিএস নির্ধারণ করতে। এ লক্ষ্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতাদের জন্য ‘অ্যাকটিভ শেয়ারিং’ এবং প্রয়োজনীয় নীতিগত সহায়তার মাধ্যমে পলিসি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
ফেসবুক পোস্টে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লেখেন, ‘আইএসপি অ্যাসোসিয়েশনগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, এখন থেকে ৫শ টাকার প্যাকেজে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট সেবা পাবেন গ্রাহকরা। এর মাধ্যমে ৫ এমবিপিএস গতিকে ব্রডব্যান্ডের স্বীকৃতি দেওয়ার দিন শেষ হলো। আমরা চাই, দ্রুতই সর্বনিম্ন গতি ২০ এমবিপিএস নির্ধারণ করা হোক।’
অন্যদিকে, এ সিদ্ধান্তকে ‘গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।
প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘সরকার এরই মধ্যে সাবমেরিন ক্যাবল ব্যান্ডউইথের মূল্য হ্রাস করেছে। গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের দাবিতে ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফাইবার সংযোগের জটিলতাও নিরসন হয়েছে। এরপরও গ্রাহকদের দেওয়া ইন্টারনেট সেবা এখনো ‘পূর্ণাঙ্গ ইন্টারনেট’ নয়, বরং অনেকাংশে ‘এন্টারটেইনমেন্ট ইন্টারনেট’। ভারত থেকে যেখানে ১ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ৮০ টাকায় কেনা যায়, সেখানে বাংলাদেশে এর দাম বহুগুণ বেশি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন সর্বনিম্ন গতি ২০ এমবিপিএস এবং সর্বোচ্চ ১০০ এমবিপিএস প্রত্যাশা করেছিল। বিটিআরসি যদি ১০ এমবিপিএস গতি নির্ধারণ করে সেটিকে বাধ্যতামূলক করে, তবে তা অন্যায় ও অযৌক্তিক হবে। আমরা এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের অনুরোধ জানাই।’