আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এখন বিভিন্ন কাজে মানুষকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে, যেমন নতুন ব্যবসায়িক ধারণা তৈরি করা ও জটিল সমস্যা সমাধান করা। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স যত বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে, যারা এর সুবিধা নিতে সক্ষম হবেন, তারা সফল হবে। আর যারা পিছিয়ে থাকবে, তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ।
কর্মক্ষেত্রে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই টুলস ব্যবহার করে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য কিছু সহজ পরামর্শ-
অভিযোজনমূলক মনোভাব গ্রহণ করুন: এআই টুলস এখনো নতুন, তাই শেখার সেরা উপায় হলো- পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা। বিভিন্ন টুল ব্যবহার করুন এবং অন্যদের থেকে শিখুন।
এআই প্রম্পট লেখায় দক্ষ হন: কার্যকরী এআই প্রম্পট লেখা শিখুন। প্রেক্ষাপট দিন, লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং পরিষ্কার নির্দেশনা দিন।
দুরূহ বার্তা লিখতে এআই ব্যবহার করুন: কঠিন বার্তা যেমন- বক্তৃতা বা কঠিন ইমেইল লেখার জন্য এআই ব্যবহার করুন।
এআই দিয়ে ভূমিকা পালন এবং অনুশীলন করুন: চাকরির সাক্ষাৎকার, বিক্রয় পিচ বা ব্যবস্থাপনা পরিস্থিতি অনুশীলন করার জন্য এআই ব্যবহার করুন।
গবেষণা ও ব্রেনস্টর্মিংয়ে এআই ব্যবহার করুন: এআই দ্রুত নতুন ধারণা তৈরি করতে এবং গবেষণা করতে সাহায্য করবে, যেমন রিপোর্ট লেখা বা নতুন ব্যবসায়িক ক্ষেত্র অন্বেষণ।
এআই দিয়ে প্রেজেন্টেশন তৈরি করুন: প্রেজেন্টেশনের খসড়া তৈরি করতে এআই ব্যবহার করুন, সময় বাঁচান।
টেক্সট ফরম্যাট পরিবর্তন করুন: এআই দিয়ে টেক্সট সংক্ষেপ, ভাষান্তর বা অন্যান্য ফরম্যাটে রূপান্তর করুন।
আপনার চিন্তা-ভাবনা চ্যালেঞ্জ করুন: এআই দ্বিতীয় মতামত দিতে বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করতে পারে।
এআই দিয়ে পরিকল্পনা বা সময়সূচি তৈরি করুন: প্রথম খসড়া পরিকল্পনা বা সময়সূচি তৈরি করতে এআই ব্যবহার করুন, পরে সেটি কাস্টমাইজ করুন।
নির্দিষ্ট আউটপুট নির্দেশ দিন: এআইকে নির্দিষ্ট আউটপুট ফরম্যাট যেমন- টেবিল, কোড বা গাণিতিক সূত্রের জন্য নির্দেশ দিন।
এআই এবং মানব প্রচেষ্টার মধ্যে সঠিক ভারসাম্য খুঁজে বের করুন: এআই যুগে সফল হতে, জানতে হবে কখন এআই ব্যবহার করতে হবে এবং কখন মানব বিচার প্রয়োজন।
পুনরাবৃত্ত কাজগুলো স্বয়ংক্রিয় করুন: নিয়মিত কাজ যেমন- ইমেইল লেখা বা রিপোর্ট তৈরি করা স্বয়ংক্রিয় করুন, যাতে আপনি গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোযোগ দিতে পারেন।