বর্তমান যুগে স্মার্টফোন ছাড়া যেন এক মুহুর্ত চলা মুশকিল। আর স্মার্টফোনে অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে বিভিন্ন অ্যাপ। যার মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য-বার্তা আদান প্রদান থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজ করা যায়।
আমরা সারাক্ষণ কোনো না কোনো অ্যাপের মাধ্যমে মেসেজ আদান-প্রদান করে থাকি। শুধু মেসেজ নয় ছবি, ভিডিও, জরুরি ফাইল শেয়ার করি মেসেজিং অ্যাপে। ব্যক্তিগত চ্যাট তো আছেই অফিসের তথ্য আদান প্রদানও করা হয় এই অ্যাপের মাধ্যমেই। আর বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মধ্যে আছে হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, টেলিগ্রাম।
তবে জানেন কি, এসব অ্যাপ কিন্তু ফোনের ক্ষতি করতে পারে। তেমনই এক অ্যাপের সন্ধান পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ১১ মিলিয়নেরও বেশি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে ছড়িয়ে পড়েছে নেক্রো ট্রোজান ম্যালওয়্যার। শুধু স্মার্টফোন নয়, ট্যাবেও। আনঅফিসিয়াল অ্যাপ এবং গেম মোডের মাধ্যমে এই ম্যালওয়্যার ছড়াচ্ছে। সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে এই খবর জানিয়েছে ক্যাসপারস্কি।
২০১৯ সালে প্রথম নেক্রো ট্রোজান ম্যালওয়্যারের সন্ধান পাওয়া যায়। সেটাই নতুন রূপে আরও বিপজ্জনক হয়ে ফিরে এসেছে। আশঙ্কার বিষয় হলো, গুগল প্লে স্টোরের অনেক অফিসিয়াল অ্যাপেও এই ম্যালওয়্যারের হদিশ মিলেছে।
ক্যাসপারস্কি বলছে, এই অ্যাপগুলো একবার ইনস্টল করলেই স্মার্টফোন অ্যাডওয়্যার টুলে পরিণত হয়। ইউজারের অজান্তেই অনেক কিছু ডাউনলোড হতে থাকে। শুরু হয় সাবস্ক্রিপশন জালিয়াতি। এমনকি ভুয়ো ট্র্যাফিক পাঠানোর জন্য ফোনকে প্রক্সি সার্ভারে পরিণত করে এই ম্যালওয়্যার।
রিপোর্টে দুটি অ্যাপের কথা বলা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, এই দুটি অ্যাপ সবচেয়ে বিপজ্জনক। সেগুলো হলো-উইটা ক্যামেরা এবং ম্যাক্স ব্রাউজার। জনপ্রিয় ক্যামেরা অ্যাপগুলোর মধ্যে উইটা ক্যামেরা অন্যতম। এখন পর্যন্ত ১০ মিলিয়নের বেশি ডাউনলোড রয়েছে।
এই দুটি অ্যাপ ছাড়াও স্পটিফাই প্লাস, হোয়াটসঅ্যাপ, মাইনক্রাফট প্রভৃতি অ্যাপের মডিফায়েড ভার্সনও সংক্রামিত হয়েছিল বলে জানিয়েছে ক্যাসপারস্কি। ইউজারদের আকৃষ্ট করতে এই মোড ব্যবহার করে হ্যাকাররা। নিরাপদ থাকতে গুগল প্লে স্টোর থেকে আসল অ্যাপগুলো ডাউনলোড করুন।
আপনার মতামত লিখুন :