ঢাকা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক কোম্পানি পেজবাইটস ইনকর্পোরেশনের মালিকানাধীন ইমো একটি গ্লোবাল ইনস্ট্যান্ট কমিউনিকেশন প্ল্যাটফর্ম। ১৭০টিরও বেশি দেশে ৬২টি ভাষায় ২০০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারীদের সংযুক্ত করেছে। তবে সব প্ল্যাটফর্মের মতো ইমোতেও কিছু নিয়ম কানুন আছে। যা ব্যবহারকারীদের চ্যাট আরও নিরাপদ রাখে।
এই নিয়ম ভঙ্গ হ্যাকিং, হয়রানি এবং প্রতারণার অভিযোগে দেশের ১ লাখ ৭৯ হাজার ডিভাইস শনাক্ত ও নিষিদ্ধ করেছে ইমো। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই অ্যাকাউন্টগুলোতে বন্ধ করা হয়েছে।
এছাড়া প্রতারণা ও হয়রানির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতায় ২০২৪ সালের প্রথম তিন প্রান্তিকে তাৎক্ষণিকভাবে যথাক্রমে ১৮০০টি ও চলতি বছরের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে কমিউনিটি গাইডলাইন অমান্য করায় দেশের ৬ লাখ ৬৭ হাজার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে ইমো।
তবে এর পাশাপাশি ইমো অত্যাধুনিক অটো টেকনোলজির মাধ্যমে হ্যাকিং ঝুঁকি শনাক্ত ও প্রতিরোধে পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ৪ লাখ ৩৫ হাজার অ্যাকাউন্টকে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি থেকে সুরক্ষিত রেখেছে। পাশাপাশি দেশের ব্যবহারকারীদের ৯ হাজার ৬০০টি অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করতেও সহায়তা করেছে ইমো।
অক্টোবরে সাইবার নিরাপত্তায় সচেতনতার মাসে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে থাকা কমিউনিটির মধ্যে বিশ্বস্ত ও নিরাপদ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে নিজেদের অবস্থান ও কঠোরতা তুলে ধরেছে অ্যাপটি। অ্যাপটি দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা পাবলিক কনটেন্ট চিহ্নিত করতে এআই প্রযুক্তির সহায়তা নেয়।
কমিউনিটিতে সহনশীলতা ও নিরাপত্তা বিনির্মাণের অংশ হিসেবে অ্যাপের ক্ষতিকর সবকটি আচরণ রিপোর্ট করতে গ্রাহককে উৎসাহিত করে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ক্ষতিকর কনটেন্ট পোস্ট করার মাধ্যমে কমিউনিটিতে প্রভাব ফেলতে পারে এমন বিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ড এড়াতে গ্রাহকের রিপোর্ট করা ৯০ হাজার অভিযোগ শনাক্ত করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :