ঢাকা শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫

মুঠোফোন গ্রাহকদের ওপর বাড়তি করের বোঝা না চাপাতে টিক্যাবের আহ্বান

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২৫, ০৬:২৭ পিএম

মুঠোফোন গ্রাহকদের ওপর বাড়তি করের বোঝা না চাপাতে টিক্যাবের আহ্বান

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

নতুন ভাবে ইন্টারনেট ও মুঠোফোন সেবায় কর বাড়িয়ে, নিত্যপণ্যের উচ্চ মূল্যে নাভিশ্বাস ওঠা জনগণের কাঁধে বাড়তি ব্যয়ের বোঝা না চাপাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে টেলিকনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিক্যাব)। আজ বৃহস্পতিবার টিক্যাব সভাপতি মুর্শিদুল হক বিদ্যুৎ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানায় সংগঠনটি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মুঠোফোন সেবার ওপর নতুন করে ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করতে পারে মর্মে গত কয়েকদিন যাবত দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ ধরনের সংবাদ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির এ সংবাদ ইতোমধ্যেই গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক উদ্বেগ-উৎকন্ঠার সৃষ্টি করেছে। রাজস্ব আদায় সহজ হওয়ায় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার প্রতি বছর এ খাতে নতুন ভাবে শুল্ক আরোপ করতো। গণমানুষের দাবি উপেক্ষা করে তারা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মুঠোফোন সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করে। বর্তমানে সম্পূরক শুল্ক এবং সারচার্জ মিলে মোবাইল ইন্টারনেট ও টকটাইমের ওপর মোট ৩৯ শতাংশ কর আরোপিত আছে।আরও ৩ শতাংশ বৃদ্ধি করা হলে তা ৪২ শতাংশে উন্নীত হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একজন গ্রাহক ১০০ টাকা মোবাইল রিচার্জের বিপরীতে ৩৯ টাকা পরোক্ষ কর দিয়ে কার্যকরীভাবে ৬১ টাকার সেবা গ্রহণ করেন। কর বৃদ্ধির পর, গ্রাহক ১০০ টাকা রিচার্জের বিপরীতে ৫৮ টাকার সেবা পাবেন। শুল্কের দিক থেকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ অথচ মোবাইল ইন্টারনেটের গতি ও সেবার দিক দিয়ে অবস্থান সর্বনিম্নে। সরকারের শুল্ক বৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে অপারেটরগুলো সেবার মান না বাড়িয়ে মোবাইল ইন্টারনেট ও টকটাইম প্যাকেজের মূল্য নিজেদের ইচ্ছে মতো বৃদ্ধি করে। আদতে শুল্ক বৃদ্ধির সম্পূর্ণ দায় বহন করতে হয় গ্রাহকদেরই।

টিক্যাব জানায়, মূল্য বৃদ্ধির কারণে ইতোমধ্যেই মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কমছে। বিটিআরসি’র হিসাবে গত অক্টোবর ২০২৪ (১২ কোটি ৩৪ লাখ) এর তুলনায় নভেম্বর ২০২৪ (১১ কোটি ৯০ লাখ) এ গ্রাহক কমেছে প্রায় ৪৪ লাখ। তাই নতুন ভাবে ব্যয় বৃদ্ধির কারণে গ্রাহকরা মোবাইল ইন্টারনেটের ব্যবহার আরো কমিয়ে দিতে পারেন। ফলে সরকার বাড়তি প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যে ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছে, সে লক্ষ্য পূরণ নাও হতে পারে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পাওয়া গণমানুষের কাক্সিক্ষত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয় কমাতে মুঠোফোন সেবায় সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির মতো হঠকারী সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকবে বলেও নিজেদের প্রত্যাশার কথা জানায় টিক্যাব।

আরবি/জেআই

Link copied!