শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৪, ০৬:০৮ পিএম

ইন্টারনেট সেবা বন্ধ

সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলকের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৪, ০৬:০৮ পিএম

সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলকের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলা খারিজ করা হয়েছে।

সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ এর ২৫ ও ২৭ ধারায় করা মামলাটি আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এফ এম জুলফিকার হায়াত খারিজের এই আদেশ দেন। আইনজীবী ইশরাত হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

ডিজিটাল মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য প্রচার এবং রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগে মো. সোহাগ মল্লিক এই মামলা দায়ের করার পর বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালেই শুনানি শেষে পরে আদেশ দেবেন বলে জানান বিচারক।

বিকেলে আদেশ দেয়ার সময় সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এফ এম জুলফিকার হায়াত বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলার নেয়ার মতো কোনো উপাদান না থাকায় খারিজ করা হলো।

মামলার আরজিতে বলা হয়, বাদী বাংলাদেশের একজন সচেতন নাগরিক। আসামি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী। সাম্প্রতিক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে একাধিকবার দেশব্যাপী মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট শাটডাউন হয়। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয় এবং বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়।

দেশে গত ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট ও গত ১৮ জুলাই রাত ৯টার দিকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। এতে টানা ৫ দিন সব ধরনের ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ ছিল ১০ দিন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইত্যাদি ইন্টারনেট ভিত্তিক যোগাযোগ মাধ্যমের সেবা বন্ধ ছিল ১৩ দিন।

সারা দেশে ইন্টারনেট বন্ধ হওয়ার বিষয়ে গত ১৮ জুলাই পলক বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানান যে, পরিস্থিতির প্রয়োজনীয়তায় ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে। ২৪ জুলাই বিভিন্ন গণমাধ্যমকে তিনি জানান, অগ্নিকাণ্ডে ডাটা সেন্টার ও ইন্টারনেট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

২৭ জুলাই বিভিন্ন গণমাধ্যমে পুনরায় জানান যে, সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করেনি, ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে গেছে। গত ২ আগস্ট বাদী কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার বন্ধে ব্যর্থতা এবং ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হওয়ার দায়ভার নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চান। ৫ জুলাই পলকের নির্দেশ অনুযায়ী সারা দেশে পুনরায় কিছু সময়ের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।

১৩ জুলাই দেশব্যাপী মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট শাটডাউনের কারণ এবং সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বর্তমান উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের নির্দেশে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

গঠিত কমিটি যে প্রাথমিক প্রতিবেদন দাখিল করে। সে অনুযায়ী, ‘গত ১৫-১৬ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট এবং গত ১৮-২৩ জুলাই পর্যন্ত এবং ৫ আগস্ট ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ ও চালু করার বিষয়টি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রশাসনিক অনুমোদন ব্যতিরেকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের মৌখিক নির্দেশে ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন’ (বিটিআরসি) এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদের নির্দেশনায় সম্পন্ন করা হয়।

অপরদিকে, গত ১৭-২৮ জুলাই পর্যন্ত এবং ৫ আগস্ট মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ ও চালু করার বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার’ (এনটিএমসি) এর নির্দেশনায় সম্পন্ন করা হয়।

প্রসঙ্গত, প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে জানা যায় যে, এই সময়ে ডাটা সেন্টারে আগুন লাগার সঙ্গে ইন্টারনেট বন্ধের কোনো সম্পর্ক ছিল না। ইন্টারনেট বন্ধের সঙ্গে ডাটা সেন্টারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি সম্পৃক্ত করে প্রচারণার মাধ্যমে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জাতির সঙ্গে মিথ্যাচার ও প্রতারণা করেছেন।

তিনি প্রতিমন্ত্রী হয়েও বিভিন্ন ডিজিটাল ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে ইন্টারনেট বন্ধ সংক্রান্ত মিথ্যা, বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার চালান। যার ফলশ্রুতিতে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুন্ন হয়। আসামি ইচ্ছাকৃতভাবে জনগণের মধ্যে ভয়ভীতি সঞ্চার করার জন্য তাদের ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে বৈধ প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। যার ফলে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিপন্ন হয়। ইচ্ছাকৃতভাবে জনসাধারণের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ ও সেবা ক্ষতিগ্রস্থ বা ধ্বংসসাধন করেন।

গত ১৭-২৮ জুলাই পর্যন্ত এবং সর্বশেষ গত ৫ আগস্ট সকাল আনুমানিক ৯টা থেকে দুপুর আনুমানিক ১টা পর্যন্ত আসামি বিভিন্ন ডিজিটাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ও অপপ্রচার করে জনমনে ভয়ভীতি সঞ্চার করে বৈধ ইন্টারনেট প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে দেশের মানুষের সঙ্গে মিথ্যাচার করে এবং দেশের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুন্ন করায় এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!