ঢাকা: রাজধানীর লালবাগ থানা এলাকায় একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী খালিদ হাসান সাইফুল্লাহকে গুলি করে হত্যার মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব রিমান্ডে নেওয়ার এ নির্দেশ দেন।
বিকেলে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে আদালতে হাজির করা হয় হাসানুল হক ইনুকে। ঢাকার মোহাম্মদপুর থানার ট্রাকচালক সুজন হত্যা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে শেষে আদালতে হাজির করা হয়েছিল তাকে। ওই মামলায় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানানো হয়। আদালত ওই মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তবে নতুন করে তাকে লালবাগ থানার খালিদ হাসান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। আদালত গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার এসআই আক্কাস মিয়া সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। অন্যদিকে ইনুর পক্ষে অ্যাডভোকেট মহিবুর রহমান মিহির রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত চার দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এই নিয়ে তিনটি হত্যা মামলায় পর্যায়ক্রমে তৃতীয় দফা রিমান্ডে নেওয়া হলো হাসানুল হক ইনুকে।
ঢাকার আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুলাই সন্ধ্যা ৬টায় লালবাগ থানার আজিমপুর সরকারি আবাসিক এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলিবিদ্ধ হন আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় খালিদ হাসান সাইফুল্লার বাবা কামরুল হাসান বাদী হয়ে লালবাগ থানায় শেখ হাসিনাসহ তার মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় বলা হয়, কিছু আসামির যোগসাজশ ও উসকানিমূলক বক্তব্যে ও সরাসরি নির্দেশে গুলি চালানো হয়।
হাসানুল হক ইনুকে গত ২৬ আগস্ট রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২৭ আগস্ট নিউ মার্কেট থানায় দায়ের করা ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। গত ৩ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদপুর থানার ট্রাকচালক সুজন হত্যা মামলায় আবার পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন, পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের জন্য ইনুকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। মামলা শুনানির সময় বিএনপি পক্ষের আইনজীবীরা এজলাসে চিৎকার ও হইচই করে ইনুর ফাঁসি চান।
আপনার মতামত লিখুন :