ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বাকের ভাই গ্রেপ্তার কিন্তু রাস্তায় নামেনি কেউ!

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪, ০৫:৩০ পিএম

বাকের ভাই গ্রেপ্তার কিন্তু রাস্তায় নামেনি কেউ!

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৩ - ধারাবাহিক নাটক ‘কোথাও কেউ নেই’-এর শেষ পর্ব প্রচারিত হবে বাংলাদেশ টেলিভিশনে। সারা দেশের দর্শক তুমুল আগ্রহ নিয়ে টিভি সেটের সামনে বসেছিল, ধারাবাহিকটির মূল চরিত্র বাকের ভাইয়ের শেষ পরিণতি দেখার জন্য। মিথ্যা মামলায় তাকে ফাঁসি দেওয়া হবে। আগের পর্বে বাকের ভাইয়ের সাগরেদ বদি মিথ্যা সাক্ষী দিতে গেছে আদালতে।

বাকেরের এই সাগরেদ কুত্তাওয়ালির হুমকিতে ভয় পেয়ে এই কাজ করেছে। পত্র-পত্রিকায় আগেই সংবাদ প্রচারিত হয়েছিল, বাকের ভাইয়ের ফাঁসি হবে। সেই খবরে রাস্তায় নেমেছিল হাজার হাজার দর্শক। তাদের হাতে ব্যানার, পোস্টার। তাতে লেখা ছিলো ‘বাকের ভাইয়ের ফাঁসি হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’, ‘বদির দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’, ‘বাকের ভাইয়ের ফাঁসি কেন, কুত্তাওয়ালি জবাব চাই।’ সারাদেশে পালিত হয়েছিলো অঘোষিত কারফিউ।

দীর্ঘ ৩১ বছর পর আবারো রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন বাকের ভাই। তবে নাটকের দৃশ্যে নয় বাস্তবে। কিন্তু তার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাস্তায় নামেনি কেউ, হয়নি কোন মিছিল মিটিং।

পাঠকরা এতক্ষনে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন কার কথা বলছি? হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন, পর্দার বাকের ভাই আর বাস্তবের সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে রাজধানী ঢাকার বেইলী রোড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে বেইলি রোডে নওরতন কলোনির বাসা থেকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। 
মিরপুর থানায় করা একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান নূর বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের জনপ্রিয় মুখ। নাট্য অভিনেতা হিসেবে খ্যাতিমান এই ব্যক্তিত্ব ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতি করলেও ৯০ এর দশকে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০০১ সালে প্রথম আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এরপর ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনেও আসাদুজ্জামান নূর সংসদ সদস্য হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রী হয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর থেকে এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের ২৭ জন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, উপদেষ্টা ও শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকে গ্রেপ্তার  করা হয়েছে। এর মধ্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং জ্বালানি, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীও রয়েছেন।
 

আরবি/জেআই

Link copied!