ঢাবি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন তোফাজ্জল। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় ফজলুল হক মুসলিম হল থেকে ওই তিন শিক্ষার্থীকে আটক করে শাহবাগ থানার পুলিশ।
আটক শিক্ষার্থীরা হলেন, হল ছাত্রলীগের সাবেক উপবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের জালাল আহমেদ এবং মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের মোহাম্মদ সুমন, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মোত্তাকিন সাকিন।
উল্লেখ্য, ঢাবির ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত তোফাজ্জল প্রেম ঘটিত ব্যাপারে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে জানাগেছে। বৃহস্পতিবার, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী আরিফুজ্জামান তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে এ তথ্য জানান।
আরিফুজ্জামান লেখেন, তোফাজ্জল আমার জন্মস্থান বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার সন্তান। তোফাজ্জল পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। এই ছেলেটি বেশ স্বজ্জন, পরোপকারী ও নেতৃত্বগুণ সম্পন্ন ছাত্রনেতা ছিল।
ব্যক্তিগত জীবনে প্রেমে মানসিক আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় প্রথমে কিছুটা মানসিক ভারসাম্য হারায়। এরপর খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে তোফাজ্জলের মা, বাবা ও একমাত্র বড় ভাই মারা যান। তোফাজ্জল পরিবার ও অভিভাবক হারিয়ে পুরোপুরি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন।
ইমরান গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন তোফাজ্জল ইসুতে হতাশা প্রকাশ করে লেখেন, আহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়!
বুধবার রাত আনুমানিক ৮ টায় তাকে আটক করে হলের শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ২টার দিকে তার মৃত্যুর খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
একটি ভিডিও চিত্রে দেখা যায় এফএইচ হলের শাখা ছাত্রলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপসম্পাদক জালাল আহমেদসহ হলের ৮-১০ জন শিক্ষার্থী তোফাজ্জলকে মারধর করছেন। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
আপনার মতামত লিখুন :