জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের মামলায় পৃথক মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আইজিপির কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা জানান।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘পরোয়ানা জারি হওয়া ৪৬ জনের মধ্যে অনেকে গ্রেপ্তারি হয়েছেন। বাকিদের গ্রেপ্তারের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। আশা করি আদালতের বেঁধে দেয়া সময়ে পদক্ষেপ নেবে তারা।’
এ সময় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, ১ থেকে ৩ নভেম্বরের মধ্যে ট্রাইব্যুনালের মূলভবনে বিচারকাজ শুরু করা যাবে।
গত মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করেননি আসিফ নজরুল।
এর আগে ট্রাইব্যুনালের সংস্কার কাজ পরিদর্শনে আসেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও গৃহায়ণ উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে তারা পুরোনো ট্রাইব্যুনালের মূলভবনে সংস্কার কাজ ঘুরে দেখেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জুলাই ও আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত ১৭ অক্টোবর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার এ নির্দেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালের সদস্যরা হলেন: বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
ওইদিন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়ে আবেদন করেন। ১৮ নভেম্বরের মধ্যে তাকে গ্রেপ্তারি করে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :