পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি গাজী মো. মোজাম্মেল হকের নামে থাকা ৬৫ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
জব্দ করা জমির মূল্য দুই কোটি ১৯ লাখ ৩২ হাজার টাকা। এছাড়া, তার স্ত্রী ফারজানা মোজাম্মেলের নামে থাকা দুই কোটি ৭৬ লাখ টাকা মূল্যের ১২টি দলিলভুক্ত জমি এবং মেয়ে গাজী বুশরা তাবাসসুমের নামে থাকা ৭৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকা মূল্যের ১০টি জমিও জব্দ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে পরিবারের নামে থাকা ২৮টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা হয়েছে, যেখানে ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৬৩ হাজার টাকা রয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক আদালতে এ বিষয়ে আবেদন করলে শুনানি শেষে তা মঞ্জুর করা হয়।
দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে সরকারি চাকরিজীবী হয়েও নয়টি প্রতিষ্ঠানের মালিকানা, জোরপূর্বক জমি দখল, রিমান্ডে নির্যাতন করে জমি লিখে নেওয়া, অবৈধভাবে নদী ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
তদন্তে তার নামে, স্ত্রী ও সন্তানের নামে ৬৭টি ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাওয়া গেছে, যেখানে ৪৯৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা জমা হয় এবং পরে ৪৮৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়। বর্তমানে এসব হিসাবে ১৭ কোটি ২০ লাখ টাকা অবশিষ্ট রয়েছে।
দুদক জানিয়েছে, অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ ব্যাংকিং চ্যানেলে যুক্ত করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কি না, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে তার স্থাবর সম্পদ জব্দ ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা হয়েছে।