প্রায় চার বছর আগে রাজধানীর শাহ আলী থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় ইশরাত রফিক ওরফে চিকিৎসক ঈশিতাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৩ মার্চ) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ ও বিশেষ দায়রা আদালতের বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী এ রায় দেন।
ঈশিতার আইনজীবী শেখ কানিজ ফাতেমা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। এ জন্য আদালত তাঁকে খালাস দিয়েছেন।’
রায় ঘোষণার সময় চিকিৎসক ঈশিতা ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন। তিনি ন্যায়বিচার পেয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
২০২১ সালের ১ আগস্ট মিরপুর থেকে চিকিৎসক ঈশিতাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁর বিরুদ্ধে পরদিন ২ আগস্ট ভুয়া পরিচয় দেওয়া, মাদক ব্যবসা, সার্টিফিকেট জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, মাদক ও প্রতারণা আইনে রাজধানীর শাহআলী থানায় তিনটি মামলা করা হয়। গ্রেপ্তারের ১৪ মাস পর ২০২২ সালের ১ অক্টোবর কারাগার থেকে মুক্তি পান।
এর মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২০২৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর চিকিৎসক ঈশিতাকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন সাইবার ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ২২ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিল করেন তিনি। ওই আপিলের শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৯ মে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক বেঞ্চ তাঁকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।
১০০ ইয়াবা এবং পাঁচ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধারের ঘটনায় ২০২১ সালের ২ আগস্ট শাহ আলী থানায় মামলাটি করেন র্যাব-৪ এর তৎকালীন ডিএডি খন্দকার মো. আমির আলী।
মামলাটি তদন্ত করে র্যাব-৪ এর উপপরিদর্শক মঈনুল হোসেন ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২৩ সালের ৯ জানুয়ারি এ মামলায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, ঈশিতাকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় র্যাবের তিন কর্মকর্তা সাবেক স্কোয়াড্রন লিডার আলী আশরাফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আখতারুজ্জামান ও আইটি বিশেষজ্ঞ রাকিবের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গত ২৪ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের করেন ঈশিতা।
সেখানে অভিযোগ করা হয়, তাঁকে আটক করে ৬ দিন গুম করে রাখা হয়। এরপর তাঁকে বিভিন্ন মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।