ধর্ষণের বিরুদ্ধে জেগে ওঠো বাংলাদেশ: পলক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২৫, ০৫:৩৩ পিএম

ধর্ষণের বিরুদ্ধে জেগে ওঠো বাংলাদেশ: পলক

আদালতে জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় আদালতে হাজিরা দেওয়ার পর প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘অগ্নিঝরা মার্চে ধর্ষণের বিরুদ্ধে জেগে ওঠো বাংলাদেশ, রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ। জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো। জেগে ওঠো আবারও।’

সোমবার (১০ মার্চ) জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় হাজিরা দিতে আসেন তিনি। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না, রোজা রাখতে কষ্ট হচ্ছে না। রিমান্ডেই এবার রোজা শুরু হলো।’

এ দিকে দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে আদালতে আনা হলে পলক বলেন, ‘কথা বললেই মামলার সংখ্যা বাড়ে, পেছনে হাতকড়া পরিয়ে রাখে। কথা বলে কী লাভ?’

এই দিন তার আইনজীবীরা আদালতে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

পলকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম বলেন, জুনাইদ আহমেদ পলককে নিয়মিত বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হচ্ছে, এতে তিনি ভীষণ কষ্ট পাচ্ছেন। এছাড়া তার দুই হাত পিছমোড়া করে হাতকড়া পরানো হচ্ছে, যা সাধারণত দাগি আসামিদের ক্ষেত্রে করা হয়।

দুদকের মামলার নথি অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ এ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, জুনাইদ আহমেদ পলক অবৈধভাবে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৮ কোটি ৭৩ লক্ষ ৪৭ হাজার ৪২ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন এবং তা ভোগদখলে রেখেছেন।

এছাড়া, তার ২৫টি ব্যাংক হিসাবে ৩২ কোটি ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৩১৪ টাকা জমা এবং ২৯ কোটি ৮৪ লাখ ৭২ হাজার ৯৫ টাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন, যা ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে মানিলন্ডারিংয়ের অপরাধের শামিল।

২০২৪ সালের ১৪ আগস্ট রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় পলককে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর তাকে একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়।

বর্তমানে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক আছেন।

আরবি/একে

Link copied!