ঢাকা বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫

পলাতক শেখ হাসিনার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২৫, ০৪:২৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজিব আহমেদ ওয়াজেদ (জয়), মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক এবং ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ নির্দেশ আদালত। গত ৫ আগস্ট উড়োজাহাজে করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। পরে শেখ রেহানা লন্ডনে মেয়ের কাছে যান বলে জানা যায়।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেনের (গালিব) আদালত এই আদেশ দেন।

দুদকের কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলাম তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেছিলেন।

আবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়, ছোট বোন শেখ রেহানা ও তার ছোট বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ও অন্যান্যের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের নামে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা লোপাট/আত্মসাতের একটি অভিযোগ দুদকে অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। অভিযোগটি অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে।

অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সপরিবারে গোপনে দেশত্যাগ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা দেশত্যাগ করে বিদেশে পালিয়ে গেলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র প্রাপ্তিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে।

তাছাড়া সার্বিক অনুসন্ধানকাজে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ সমূহ ক্ষতির কারণ রয়েছে। এ অবস্থায় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধান কার্যক্রমের স্বার্থে তাদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা একান্ত প্রয়োজন।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতার ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানাও ছিল। তারা ভারতে আশ্রয় নেয় বলে একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর প্রচার হয়। পরবর্তীতে ভারত সরকারও বিষয়টি নানা আলোচনায় উপস্থাপন করেন। শেখ হাসিনা ও তার বোনের সন্তানরা আগে থেকেই দেশের বাইরে অবস্থান বসবাস করে আসছেন।