পুলিশের সাবেক উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোল্যা নজরুল ইসলামের নামে থাকা দুটি ফ্ল্যাটসহ এক কোটি ৬৪ লাখ ৩০ হাজার ৫৪০ টাকার স্থাবর সম্পদ জব্দের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে সিআইডির সাবেক এই কর্মকর্তার নামে থাকা ৫৫ লাখ ৪৭ হাজার ৩০৬ টাকার শেয়ার ফ্রিজের আদেশও দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২৩ মার্চ) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষ থেকে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
সিআইডির সাবেক এই কর্মকর্তার ক্রোককৃত সম্পদের মধ্যে রয়েছে রাজধানীর আফতাবনগরে ১২ লাখ ৮৩ হাজার ৪৬০ টাকা মূল্যের আড়াই কাঠার প্লট, বাড্ডার পুলিশ অফিসার্স হাউজিং সোসাইটিতে ১৫ লাখ ৮৩ হাজার ৮৮৫ টাকা মূল্যের চার কাঠার প্লট, নারায়ণগঞ্জে পাঁচ লাখ টাকা মূল্যের ৬ দশমিক ৩৫ কাঠার জমি এবং রামপুরায় এক কোটি ১৪ লাখ ৮৩ হাজার ২০০ টাকা মূল্যের দুটি ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন সম্পদ ক্রোক ও শেয়ার ফ্রিজের এ আবেদন করেন।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আসামি মোল্যা নজরুল ইসলাম একজন পাবলিক সার্ভেন্ট হয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৯৪ লাখ টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন ও ভোগ দখলে রেখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪-এর ২৭ (১) ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আবেদনে আরও বলা হয়, আসামি তার সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রি, হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করছেন বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে। মামলা নিষ্পত্তির আগে এসব স্থাবর সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের সমূহ ক্ষতি হতে পারে। সে কারণে স্থাবর সম্পদ জব্দ এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করে রিসিভার নিয়োগ করা একান্ত প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, সবশেষ রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে সংযুক্ত থাকা মোল্যা নজরুল ইসলামকে গত ১৭ মার্চ সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে বরখাস্ত হওয়া অপর সদস্য হলেন সিলেট জেলার সাবেক পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান।
আপনার মতামত লিখুন :