জুলাই আন্দোলনের দ্বিতীয় শহীদ চট্টগ্রামের ওয়াসিম আকরাম হত্যা মামলায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জুলাই ওয়াসিম আকরাম নিহত হন।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আবেদন করেন।
এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানার তালিকায় আছেন- সাবেক মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র আ জ ম নাসিরসহ ১৫ জন।
গত ১৬ জুলাই বিকেল ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকায় আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে গুলিতে নিহত হন ওয়াসিম আকরাম। তিনি চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র এবং একই কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
ওয়াসিম আকরাম কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী শফিউল আলমের ছেলে। পরে ১৮ আগস্ট তার মা জোসনা আক্তার পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৬ জুলাই বিকেল ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে ওয়াসিম আকরাম মুরাদপুরের বারকোড রেস্টুরেন্টের সামনে ছিলেন। ওই সময় ছাত্র জনতার বৈষম্যবিরোধী শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছিল। আন্দোলন চলাকালে আসামিদের ইন্ধনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডাররা অস্ত্রশস্ত্রসহ হামলা চালায়। এ সময় ওয়াসিমের ওপর বোমা বিস্ফোরণ, লাঠিসোঁটা, হকিস্টিক, কিরিচ ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করা হয়। এক পর্যায়ে এলোপাতাড়ি গুলিতে ওয়াসিম গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।